উত্তর দিলুম, তা প্রায় দশ মিনিট হবে।
—তবেই সেরেছে, আমাকে হয়তো ঘণ্টা খানিক ওয়েট করতে হবে। এই রতন, তুই শুধু শুধু এখানে থেকে কি করবি, বাড়ি যা।
রতন বলল, কেন, আমি তো বাগড়া দিচ্ছি না গোষ্ঠ-দা। গনৎকার সায়েব তোমাকে কি বলে না জেনে আমি নড়ছি না।
গোষ্ঠ-দা আমার দিকে চেয়ে বললেন, দেখুন তে। মশাই রতনার আক্কেল। আমি এসেছি নিজের ভাগ্যি জানতে, তুই কি করতে থাকবি?
আমি বললুম, আপনার ভাগ্যফল উনিও জানতে চান। আপনার আত্মীয় তো?
—আত্মীয় না হাতি। এ শালা আমার জোঁক, কেবল চুষে খাবার মতলব।
রতন বলল, আগে থাকতে শালা শলো বলো না মাইরি। আগে বিজির সঙ্গে তোমার বে হয়ে যাক তার পর যত খুশি বলো।
—আরে গেল যা। বিজিকেই যে বে করব তার ঠিক কি? গুলুরাণীও তো নিন্দের সম্বন্ধ হয়। কি বলেন সার?
আমি বললাম, আপনাদের তর্কের বিষয়টা আমি তো কিছুই জানি না।
—তা হলে ব্যাপারটা খুলে বলি শুনুন। আমি হলুম শ্রীগোষ্ঠ বিহারী সাঁতরা, শ্যামবাজারের মোড়ে সেই যে ইম্পিরিয়াল টি-শপ আছে তারই সোল প্রোপাইটার। তা আপনার আশীর্বাদে দোকানটি ভালই চলছে। এখন আমার বয়স হল গে ত্রিশ পেরিয়ে একত্রিশ, এখনও যদি সংসার ধর্ম না করি তবে কবে করব? বুড়ো বয়সে বে করে লাভ কি? কি বলেন আপনি, অ্যাঁ? এখন সমিস্যে হয়েছে পাত্রী নিয়ে, দুটি আমার হাতে আছে। এক নম্বর হল, নফর দাসের মেয়ে গুলুরানী, ভাল নাম গোলাপসুন্দরী। দেখতে তেমন সুবিধের নয়,