পাতা:চমৎকুমারী ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
চমৎকুমারী ইত্যাদি

মতীর কথায় বুঝলাম, উনি সেই আগের মতন সংস্কারের দাসী গুরুজনের আজ্ঞাপালিকা ভীরু মেয়ে নন, ওঁর স্বাধীন বিচারের শক্তি হয়েছে, মনের কথা বলবার সাহস হয়েছে। উনি যদি সেকালের কিশোরী না হয়ে একুশ-বাইশ বছরের আধুনিকী হতেন তবে সমস্ত বাধা অগ্রাহ্য করে আমাকেই বরণ করতেন।

 যশোমতী বললেন, এই, তোরা চুপ কর, কেন এঁকে অত বকাচ্ছিস, খেতে দিবি না?

 রাকা বলল, বা রে, উনি নিজেই তো বকবক করছেন, আমরা শুধু একটু উসকে দিচ্ছি। আসন দাদু এইবার খেতে বসুন।

 যশোমতী বললেন, টেবিলে খাবার দেব কি না আসন পেতে দেব?

 পুরঞ্জয় বললেন, খাওয়াবে তো ফলার। টেবিলে তা মানায় না, আসনই ভাল। মেজেতেই বসব।

 খাদ্যের আয়োজন দেখে পুরঞ্জয় বললেন, বাঃ, কি সুন্দর! সাত্ত্বিক ভোজন একেই বলে। সাদা কম্বলের আসন, সাদা পাথরের থালায় ধপধপে সাদা চিঁড়ে, সাদা কলা, সাদা সন্দেশ, সাদা বরফি, সাদা নারকেল কোরা, সাদা পথেরবাটিতে সাদা দই। আবার, সামনে একটি সাদা বেরাল বসে আছে। যশো, তোমার রুচির তুলনা নেই।

 রাকা বলল, আসল জিনিসেরই তো বর্ণনা করলেন না। এই পবিত্র শুভ্র খাদ্যসম্ভার পরিবেশন করেছেন কে? একজন শুভ্রবসনা শুভ্রকেশা শত্রুকান্তি শুচিম্মিতা সুন্দরী, যাঁর দুটো মূর্তি আপনার চিত্তপটে পার্মানেণ্ট হয়ে আছে।

 পুরঞ্জয় বললেন, সাধু সাধু, চমৎকার, বহুত আচ্ছা, ওআহ্ খুব, একসেলেণ্ট!

 রাকা বলল, দাদু, একটি কথা নিবেদন করি। আমাদের দুজনকে