—সব বেটা বেটী শালা শালী সমান, আমাকে উপোস করিয়ে মেরে ফেলতে চায়। দাঁড়া, সবাইকে কলা দেখাচ্ছি। আমি ফের বিয়ে করব, নতুন বউকে সব সম্পত্তি দেব।
শিবরাম বলল, এমন থুত্থুড়ে যুবো বরকে বিয়ে করবে কে?
—লট্কী নর্স বিয়ে করবে। এই লট্কী, তোকে পঞ্চাশ ভরি গোট দেব, দু হাতে দশ-দশ গাছা চুড়ি দেব, এই বাড়িখানা তোকে দেব, বিয়ে করতে রাজী আসিছ?
নর্স লতিকা বলল, আহা আগে বলেন নি কেন কত্তাবাবু, আর একজনকে যে কথা দিয়ে ফেলেছি। আপনি দেখুন না, যদি বুঝিয়ে সুজিয়ে কি ভয় দেখিয়ে লোকটাকে ভাগাতে পারেন।
নর্স চলে গেলে শিবরাম বলল, দাদু, বেশ তো, লতিকা খাস্তগিরকে বিয়ে কর, মজা টের পাবে। যেমন তুমি চোখ বুজবে অমনি তোমার পেয়ারের লট্কী একটা জোয়ান বর বিয়ে করবে আর মনের সাধে দুজনে তোমার সম্পত্তি ওড়াবে।
শিবরামের বড়সায়ের হ্যারি সিমসন এসে পড়লেন। যাঁরা ঘরে ছিলেন তাঁরা সকলেই উঠে গেলেন। মহা খাতির করে শিবরাম সায়েবকে জয়রামের কাছে নিয়ে এল।
জয়রামের শীর্ণ হাতে ঝাঁকুনি দিয়ে সিমসন বললেন, হাডুডু, এ গ্রেট ডে নন্দী বাবু। আপনার জন্মদিন আরও বহুবার আসুক এই কামনা করি। ইউ লুক ভেরি ওয়েল।
হাত জোড় করে গদ গ্দ স্বরে জয়রাম বললেন, অ্যাজ ইউ হ্যাভ কেপ্ট মি সার, যেমন আমাকে রেখেছেন। উইশ হউ লঙ লাইফ, ইউ,