পিছনে মা বাবা আছেন, ঠাকুমা আছেন, হরেক রকম দেশনেতাও আছেন। মন্ত্রীরাও কিছু করতে ভয় পান। ছেলেরা হচ্ছে শ্রীরামকৃষ্ণকথিত বটুক ভৈরব, কার সাধ্য তাদের শাসন করে।
—কিন্তু এসব কাজে লাভ কতটুকু হয়?
—বিনা টিকিটে রেলে চড়লে কিছু পয়সা বাঁচে। চেন টানলে, গার্ড’কে মারলে বা স্কুল কলেজে দাঙ্গা করলে আর্থিক লাভ হয় না, কিন্তু বাহাদুরি দেখানো হয়, সেটাই মস্ত লাভ। আইন লঙ্ঘনে একটা অনির্বচনীয় আত্মতৃপ্তি আছে। আর্থিক লাভের হিসেব যদি চাও তবে পকেটমারদের খতিয়ান দেখ। হাজার বার পকেট মারলে হয়তো এক বার ধরা পড়ে। এক জনের না হয় সাজা হল, কিন্তু বাকী ন শ নিরেনব্বুই জন তো বেঁচে গেল, তারা ভয় পেয়ে তাদের পেশা ছাড়ে না।
—আমাকে পকেটমার হতে বলছ নাকি?
—না। এ কাজে রোজগার অবশ্য ভালই, কিন্তু ঝাঁকা মুটে রিকশওয়ালা কিংবা পকেটমারের কাজ তোমার মতন ভদ্রলোকের উপযুক্ত নয়। দৈবাৎ যদি ধরা পড় তবে আত্মীয় স্বজনের কাছে মুখ দেখাতে পারবে না, তোমার পক্ষে তা মৃত্যুর বেশী। যারা খাবার জিনিসে বা ওযুধে ভেজাল দেয়, কালোবাজার চালায়, ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, ঘুষ নেয়, মদ চোলাই করে, নোট বা পাসপোর্ট জাল করে, তবিল তসরুপ করে, তাদের অপরাধ গুরুতর, কিন্তু পকেটমারের চাইতে তারা ঢের বেশী রেস্পেক্টেব্ল গণ্য হয়।
—আমাকে কি করতে হবে তাই স্পষ্ট করে বল।
—মাৎস্য ফিলসফিটা আর একটু বুঝে নাও। নিরাপত্তার বিপরীত অনুপাতে লাভের সম্ভাবনা। ধরা পড়া আর শাস্তির সম্ভাবন। যত কম, লাভও তত কম। রিস্ক যত বেশী, লাভও তত