একটু আমতা আমতা করে বিধু মাষ্টার বললেন, কিছু মনে করবেন না বনোয়ারী বাবু ইয়ে, একটা প্রশ্ন করছি। আপনি কি বিবাহিত?
—অভ কোর্স। হোআই নট?
—তা হলে, তা হলে—
—আমার স্ত্রী এই দাড়ি বরদাস্ত করেন কি করে— এই তো আপনার প্রবলেম? চিন্তার কারণ নেই মাষ্টার মশাই। তিনি প্রসন্ন মনেই মেনে নিয়েছেন, মিউচুয়াল টলারেশন, বুঝলেন কিনা। তাঁরও তো ফুট তিনেক আছে।
বিধু মাষ্টার আঁতকে উঠে বললেন, কি সর্বনাশ!
—তাঁরটা দাড়ি নয় মশাই, মাথার চুল, যাকে বলে কেশপাশ, কুন্তলভার, চিকুরদাম।
আমরা নিশ্চিন্ত হলুম। তার পর বনোয়ারী বাব, বাঙালী ময়রার দোকান থেকে জিলিপি আনিয়ে আমাদের সবাইকে খাওয়ালেন। আমরা খুশী হয়ে বিদায় নিলাম।
২। সত্যবতী ভৈরবী
তখন হিন্দুধর্মের পুনরুত্থানের যুগে, পলিটিক্স নিয়ে বেশী লোক মাথা ঘামাত না। সুরেন বাঁড়ুজ্যের চাইতে মাদাম ব্লাভাৎস্কি শশধর তর্কচূড়ামণি আর পরিব্রাজক শ্রীকৃষ্ণপ্রসন্ন বেশী জনপ্রিয় ছিলেন।
আমাদের বাড়ি থেকে আধ মাইল দূরে হরনাথ মুখুজ্যের আশ্রম। বিস্তর জমি, অনেক আম কাঁঠাল লিচুর গাছ, একতলা পাকা বাড়ি, তা থেকে কিছু দূরে একটি কালীমন্দির। হরনাথ বাবু কলকাতা