এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
চয়নিকা
সেদিন নদীর নিকষে অরুণ
আঁকিল প্রথম সোনার লেখা;
স্নানের লাগিয়া তরুণ তাপস
নদীতীরে ধীরে দিলেন দেখা।
পিঙ্গল জটা ঝলিছে ললাটে
পূর্ব অচলে উষার মতো,
তন্ন দেহখানি জ্যোতির লতিকা
জড়িত স্নিগ্ধ তড়িৎ শত।
মনে হোলো মোর নব-জনমের
উদয়শৈল উজল করি’
শিশির-ধৌত পরম প্রভাত
উদিল নবীন জীবন ভরি’।৷
তরুণীরা মিলি’ তরুণী বাহিয়া
পঞ্চমসুরে ধরিল গান,
ঋষির কুমার মোহিত চকিত
মৃগশিশুসম পাতিল কান।
সহসা সকলে ঝাঁপ দিয়া জলে
মুনি-বালকেরে ফেলিয়া ফাঁদে
ভুজে ভুজে বাঁধি’ ঘিরিয়া ফিরিয়া
নৃত্য করিল বিবিধ ছাঁদে।
নুপুরে নুপুরে দ্রুত তালে তালে
নদীজল-তলে বাজিল শিলা,
ভগবান্ ভানু রক্ত-নয়নে
হেরিলা নিলাজ নিঠুর লীলা;