পাতা:চয়নিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬০
চয়নিকা

দূরে থাকিতেই গোপনগন্ধ-ঢালা
সুখসংবাদ মেলিবে হৃদয়মাঝে।
এই সুযোগেতে একটুকু দিই খোঁটা—
আমারি দেওয়া সে ছোট্ট চুনির দুল
—রক্তে জমানো যেন অশ্রুর ফোঁটা—
কতদিন সেটা পরিতে করেছ ভুল।
আরেকটা কথা ব’লে রাখি এইখানে,
কাব্যে সে কথা হবে না মানানসই,
শুয় দিয়ে সেটা গাহিব না কোনো গানে,
তুচ্ছ শোনাবে তবু সে তুচ্ছ কই।
একালে চলে না সোনার প্রদীপ আনা.
সোনার বীণাও নহে আয়ত্তগত।
বেতের ডালায় রেশমি রুমাল-টানা
অরুণবরন আম এনো গোটাকত।
গদ্যজাতীয় ভোজ্যও কিছু দিয়ো,
পদ্যে তাদের মিল খুঁজে পাওয়া দায়।
তা হোক, তবুও লেখকের তা’রা প্রিয়,
জেনো, বাসনার সেরা বাসা রসনায়।
ঐ দেখো, ওটা আধুনিকতার ভূত
মুখেতে জোগায় স্থূলতার জয়ভাষা,
জানি, অমরার পথহারা কোনো দূত
জঠরগুহায় নাহি করে যাওয়া-আসা।
তথাপি পষ্ট বলিতে নাহি তো দোষ
যে কথা কবির গভীর মনের কথা—
উদর-বিভাগে দৈহিক পরিতোষ
সঙ্গী জোটায় মানসিক মধুরতা।
শোড়ন হাতের সন্দেশ পানতোয়া,
মাছমাংসের পোলাও ইত্যাদিও