এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চয়নিকা
৬১
যত চাও তত লও তরণী ’পরে।
আর আছে?—আর নাই, দিয়েছি ভ’রে।
এতকাল নদীকূলে যাহা লয়ে ছিনু ভুলে
সকলি দিলাম তুলে থরে বিথরে,
এখন আমারে লহ করুণা ক’রে।
ঠাই নাই, ঠাই নাই। ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি’।
শ্রাবণ-গগন ঘিরে’ ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি’,
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
শিলাইদহ। বোট
ফাল্গুন, ১২৯৮
—সোনার তরী
হিং টিং ছট্
স্বপ্নমঙ্গল
স্বপ্ন দেখেছেন রাত্রে হবুচন্দ্র ভূপ,—
অর্থ তার ভাবি ভাবি গবুচন্দ্র চুপ।—
শিয়বে বসিয়া যেন তিনটে বাঁদরে
উকুন বাছিতেছিল পরম আদরে;
একটু নড়িতে গেলে গালে মারে চড়,
চোখে মুখে লাগে তার নখের আঁচড়।
সহসা মিলাল তা’রা, এল এক বেদে,
"পাখি উড়ে গেছে” ব’লে মরে কেঁদে কেঁদে;