পাতা:চরিত্রহীন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sab চরিত্রহীন প্রত্যেক ইট-কাঠ, দরজা-জানলা, কড়ি-বরগা পর্যন্ত বিষে নীল হয়ে আছে । একটুখানি থামিয়া কহিল, কহিল, কতদিনে কেমন করে যে এর শেষ হতো, আমি DB SS DD BBuS DDBkBDuS BBBDB BDBDD DDDDDDDD D DD কিন্ত কি অমত হাতে করেই তুমি উদয় হলে ঠাকরপো, কোথায় বা গেল বিষের জ্বালা, আর কোথায় বা রইল বিদ্বেষ-বিতৃষ্ণা । চোখের পলকে এসব এমনি তুচ্ছ হয়ে গেল যে, অনঙ্গকে বিদায় দিতে আমার একটা মিনিটও লাগল না । তুমিই যেন এসে আমার কানে কানে উপায় বলে দিয়ে গেলে । জানো ত ঠাকরুপো মেয়েমানষে গহনা কত ভালবাসে । আমার বড় দঃখের গহনাগলি ছিল যেন আবার বকের পাঁজির। ওই যেখানে মাথা হেট করে তুমি এখন বসে আছ, ঠিক ঐখানেই সেই পাঁজিরগালো খসিয়ে তার পায়ে ঢেলে দিলাম । আমার প্রতি আসক্তি তার যত বড়ই হোক, এতগলো গহনা হাতে পেলে সে যে আর কখনো মািখ দেখাবে না, জন্মের মত রেহাই দিয়ে সে যে চলে যাবে, এ মন্ত্রটা তুমিই যেন আমাকে শিখিয়ে দিলে । উঃ-কত ভয়, কত ভাবনাই ছিল আমার, পাছে এই দুদিনের চাপে একদিন সেই গয়নাগলোই আমার নষ্ট হয়ে যায়। তাই ত গেল-কৈ ধরে রাখতে তাদের ত পারলাম না। কিন্তী, আঃ- সে কি তৃপ্তি, সে কি আশ্চৰ্য আনন্দ ঠাকরুপো ? এমনি এক অন্ধকার সন্ধ্যায় যখন সেইগলোর লোভে সে তার বীভৎস পািচ্ছপাশ আমার সবঙ্গি থেকে খালে নিয়ে চোরের মত নিঃশব্দে সরে গেল, মনে হল বাঁচলাম । আমি বাঁচলাম । উপেন্দ্রর মনে পড়িল তাহার এবং সতীশের মাঝখান দিয়া একদিন সকালে চোরের মত অনঙ্গ ডাক্তার সরিয়া গিয়াছিল । কিন্ত কোন কথা না কহিয়া চপ করিয়া রহিল । কিরণময়ী কহিতে লাগিল, তোমার মনে পড়ে কি ঠাকুরপো, আমার সে রাতের তি ? সেদিন কত কান্ডই করেছিলাম। আড়ি পেতে তোমাদের কথাবাত শোনা, নীচে গিয়ে তোমাদের চোখ রাঙ্গিয়ে কত ভয় দেখান, তারপরে তোমরা চলে গেলে। নিজের বিষয়ের সে কি জ্বালা । কিন্ত তার বদলে যে দটি জিনিস পেলাম ঠাকরপো, সে আমার সবগ সে আমার অমত । শ্ৰীীরামচন্দ্রের পাদপশে পাষাণ অহল্যা যেমন মানষে অহল্যা হয়েছিলেন। আমিও যেন তেমনি বদলে গেলাম : অহল্যা। মানষি হয়ে কি পেয়েছিলেন জানিনে, কিন্ত আমি যা পেলাম, তার তুলনা নেই । আমার ভাই ছিল না, সতীশকে পেলাম আমার মায়ের পেটের ভাই, আর পেলাম তোমাকে-ছিঃ । অমন মলিন হয়ো না ঠাকুরপো, পরিষমানষের কি অত লক্ষজা ऊाgछ ? উপেন্দ্র জোর করিয়া মাথা সোজা করিয়া দঢ়সবরে কহিল, যা লক্ষজার বস্তু, মেয়েপরিষের উভয়েরই সমান বৌঠান। আমি এসব কথা শািনতে চাইনো-হয় আপনি চাপ করুন, না হয়। আমি এই মাহতেই উঠে যাব । কিরণময়ী কহিল, জোর করে নাকি ?