পাতা:চরিত্রহীন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত্রহীন Sbዖእs কিন্তু যেমনই হও, আজ থেকে তুমি হলে আমার গাের । তোমার কাছ থেকেই আমি সবামীপ্রেমের পাঠ নিলাম। ভালবাসার সবাদ। আমি পেয়েছি-এ আমি আর ছাড়তে পারব না। ভালবাসা আমার চাই-ই-ভােল আমাকে বাসতেই হবে। তবে, অন্যকে ভালবেসে কেন এ ব্যথা করি ? আজিও তা আমার স্বামী বেচে আছেন, এখনো ত বিধবা হইনি।--তবে, কেন এ ভুল করি ? তোমার মত আজ থেকে আমিও আমার সংঘামীকেই ভালবাসব-আর কারকে নয় । বলমাত্রই আমার মন যেন তার সমস্ত শক্তি এক সায় দিয়ে বললে, 'ভালবাসা ফিরে পাবার তোমুর আশা নেই সত্যি, কিন্ত, তবও তোমাকে তাঁকেই ভালবাসতে হবে।” কিন্তু आभाईंqभनि t*ाप्ला অদষ্ট ঠাকুরপো, তিনি বাঁচলেন না। আমার বড় সাধের সাধনা অঙ্কুরেই শকিয়ে গেল। তাই তাঁর মাতুত্যুর দিনে আমার যে চেহারা তোমরা দেখতে পেয়েছিলে, তার মধ্যে একবিন্দ, ছলনা ছিল না । বলিতে বলিতে তাঁহার কন্ঠসর যে কারণ এবং আদ্র হইয়া উঠিতেছিল, উপেন্দ্র তাহা লক্ষ্য করিল, কিন্তু কথা কহিল না। কিরণময়ী DDBD BDBDB BD DBD DDBBDBS DDBDS DBBD BuiDS DBBD BDS DB বাঝবে না বটে, কিন্তু তুমি তা জানো সংসারে সমস্ত জিনিসেরই প্রাকৃতিক নিয়ম আছে। সে নিয়ম অগ্রাহ্য করে স্বামী-স্ত্রীর কেউ কখনো তাদের সেই চিরমধর সম্বন্ধে পৌছতে পারে না । বিয়ের মন্ত্ৰ কত ব্যবদ্ধি দিতে পারে, ভক্তি দিতে পারে, সহমরণে প্রবত্তি দিতেও পারে, কিন্ত মাধয দেওয়ার শক্তি ত তার নেই। সে ভক্তি আছে শািন্ধ ঐ প্রকৃতির হাতে। তার দেওয়া নিয়ম-পালনের মধ্যে যখন সময় ছিল, সামথ্য ছিল, তখন দজনেই দ পায়ে সে নিয়ম মাড়িয়ে গেছি, তার কোন সম্পমানই রাখিনি, আজ অসময়ে স্বামী যখন মােতকল্প তখন প্রয়োজন বলে তাঁর কাছে যাব আমি কোন পথে ? কিন্ত তবও হাল ছেড়ে আমি দিইনি। ঠাকুরপো । আশা ছিল একটা পথ বঝি তখনও খোলা ছিল । সে তাঁর সেবা । ভেবেছিলাম। আমরণ স্বামী-সেবা নিয়েই হয়ত বা একদিন তাঁকে পাবো, কিন্তু এমনি হতভাগিনী আমিসেটুক অবসরও আমার মিলল না, তিনি ইহলোক ত্যাগ করে গেলেন । উপেন্দ্ৰ সবিস্ময়ে মাখ তুলিয়া দেখিল, কিরণময়ীর দাই চক্ষ অশ্রািজলে ভাসিতেছে। কহিল, শানেছি, আপনি যেমন তাঁর সেবা করেছেন তেমন মানষে পারে না। সেদিকে সন্ত্রীর কতব্যে আপনার লেশমাত্র এটি ঘটেনি। কিরণময়ী বলিল তা হয়ত ঘটেনি, কিন্ত মানষে না পারলে আমিই বা কি করে পারলাম ঠাকরপো ? তা নয়-তেমন সেবা সত্ৰীলোকমাত্রই পারে। কিন্ত আমি ত কতব্য বলে কিছই করিনি, আমার অন্য সমস্ত পথ বন্ধ ছিল বলে আমি চেয়েছিলাম। আমার সেবার মধ্যে দিয়ে তাঁকে পেতে । তাই সেদিকে সাধ্যমত কখনো অবহেলা করিনি। ভেবেছিলাম। একবার যদি তাঁকে বকের মধ্যে পাই, যতদিন বাঁচি, যেখানে যেভাবে থাকি, ভদ্রভাবে জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারব। কিন্ত সমস্ত চেন্টা আমার নিম্মফল হয়ে গেল। তাঁকে পেতে শার করেছিলাম বটে। কিন্ত পেলাম না। প্রথম থেকে সেই যে তমি আমার বািক জড়ে রইলে,