পাতা:চরিত্রহীন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sadè চরিত্রহী তত্তবাবধানে থাকিয়া কলিকাতার কলেজেবি, এ, পড়িবে স্থির হওয়ায় তাহার নািতনকেনা স্টিলের তোরঙ্গ ভরিয়া কেতাব-পত্র এবং কাপড়-চোপড় লইয়া দিবাকর হারানবাবর পাথরেঘাটার বাড়িতে একদিন সন্ধ্যার সময় আসিয়া উপস্থিত হইল । কিরণময়ী তাহাকে অল্পবয়স্ক ছোটভাইটির মত সন্নেহে গ্রহণ করিল। মাতুলাশয়ে সরবালা ভিন্ন দিবাকরকে যত্ন করিবার কেহ ছিল না। আবার সে যত্নের মধ্যেও মহেশবরীর খরদণ্টি, শনিরদন্টির মত অনেক রস অনেক সময়ে শকাইয়া শঙ্কা করিয়া দিত। কিন্তু এখানে সে-সকল কোন উৎপােতই ছিল না । অযত্ন-পালিত টবের গাছ দৈবাৎ ধরণীর ক্লোড়ে আশ্ৰয় পাইয়া অপযপ্তি রসের আসবাদে তাহার বক্তৃক্ষ শীণ শিকড়গিলা যেভাবে মাটির মধ্যে সহস্র বাহ বিস্তার করিতে থাকে, কিরণময়ীর আশ্রয়েও দিবাকরের ঠিক সেই মত হইল । মহানগরীর বিস্তীণ ও বিচিত্র আবহাওয়ার মধ্যে পড়িয়া দেখিতে দেখিতে তাহার সংকুচিত। আশা ও সংকীর্ণতর ভবিষ্যৎ বিস্ফোরিত হইয়া উঠিল । নিজেকে সে বড় করিয়া অনভব করিল । বি, এ, ফেল করিয়া বিদ্যাভ্যাসের পরাতন বন্ধন তাহাৰ ছিন্ন হইয়াছে, অথচ নািতন বন্ধনের এখনও বিলম্ব আছে, এই মধর অবকাশ-কালটায় সে নিরন্তর সবত্র ঘরিয়া জ্ঞান আহরণ করিতে লাগিল । সে থিয়েটার দেখিয়া আসিয়া সর্বপ্ন দেখিল, জন দেখিয়া অবাক হইল, মিউজিয়াম দেখিয়া শুন্স্ভিত হইল, শিবপরে সরকারী বাগান দেখিয়া প্রবন্ধ লিখিল, প্রাসাদতুল্য সোধ-শ্রেণীর দিকে হা করিয়া চাহিয়া রহিল ; অবশেষে একদিন গাড়ি চাপা পড়িয়া পা মাচকাইয়া ঘরে ফিরিয়া আসিল । আঘাত যৎসামান্য । কিরণময়ী তাড়াতাড়ি চুন-হলদি গরম করিয়া অনিয়া প্রলেপ দিতে দিতে মােখ। টিপিয়া হাসিয়া বলিল, কি চাপা পড়লে ছোট ঠাকুরপো : tयाgान शाएि, ना १iद्ध शाgि ? - দিবাকর মািখ রাঙ্গা করিয়া বলিল, ঘোড়ার গাড়ি । কিরণময়ী কহিল, তব রক্ষা । নইলে এই খেড়িা-পা নিয়ে আবার জরিমানা দিতে থানায় যেতে হতো । দিবাকর লজ্জিত-মাখে বলিল, কিছই লাগেনি, এ কাল সকালেই সেরে যাবে। কিরণময়ী কহিল, তা যাবে । কিন্তু বেশী দরে আর যেয়ো না । শানচি নাকি একদল ছেলেধরা কলকাতায় এসেচে । এমনি করিয়া দিন কাটিতেছিল ; অঘোরাময়ী নানা তীথে ঘরিয়া একদিন বাড়ি ফিরিয়া আসিলেন । ইতিপবে যে দশ-একদিন তিনি দিবাকরকে দেখিয়াছিলেন তখন পত্ৰশোকে হৃদয়-মন এমনি মহামান ছিল যে, ইহার মাখখানা চোখেই পড়ে নাই। আজ এই শ্ৰমশ্ৰগশফাহীন নধরকান্তি চারদর্শন ছেলেটির পানে চাহিবামাই তাঁহার মায়ের প্রাণ স্নেহে বিগলিত হইয়া গেল। বলিলেন, দিব, আমি সম্পকে তোর মাসিীমা হই, আমাকে মােসীমা বলে ডাকিস বাবা । ইহারও মা-বাপ বাঁচিয়া নাই শনিয়া তাঁহার দ'চক্ষ ছলছল করিয়া উঠিল এবং