পাতা:চরিত্রহীন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

́ SOy চরিত্রহীন থাকে । সে সিংহদ্বার সে প্রবত্তির তাড়নাতেই ডিঙিয়ে যায়। তার পাবে সে তার বাপ-মাকে ভাই-বোনকে ভালবাসে, বন্ধ-বান্ধবকেও ভালবাসে, কিন্তু তার পশ্চভূতের দেহটা বড় না হওয়া পযন্ত তোমার স্বগীয় প্রেমের কোন সংবাদ রাখবারই তার অধিকার জন্মায় না । ততদিন পর্যন্ত সবগীয় আকষণ তাকে একতিল নাড়াতে পারে না । পথিবীর আকর্ষণ ত চিরদিনই আছে, কিন্তু সে আকর্ষণে আত্মসমপণ করতে গাছের পাকা ফলটিই পারে, কাঁচায় পারে না। তার অশি, শাঁস পথিবীর রসেই পাকে, সবগের রসে পাকে না। সন্দির ফুল রূপ দিয়ে, গন্ধ দিয়ে, মধ্য দিয়ে মৌমাছি টেনে এনে ফলে পরিণত হয়, সেই ফল আবার ঠিক সময়ে মাটিতে পড়ে অংকুরে পরিণত হয়-এই তার প্রকৃতি, এই তার প্রবত্তি, এই তার স্বগীয় প্ৰেম । বিশব জড়ে এই যে অবিচ্ছিন্ন সন্টির খেলা, রূপের খেলা চলছে, সবগীয় নয় বলে এতে দল্লখ করবার বা লাস্জা পাবার ত কিছই দেখিনে । একটুখানি থামিয়া কিরণময়ী বলিল, অবশ্য অন্ধকারে ভূতের ভয়ে যদি চোখ বজেই আরাম পাও, আমি চাইতে তোমাকে বলিনে, কিন্তু প্রবত্তির তাড়না চাইনে, সুবগীয় প্রেম উপভোগ করব-প্রেমের ব্যবসা অত সোজা নয় । দিবাকর প্রশ্ন করিল, পথিবীতে তবে পবিত্র প্রেম, ঘণিত প্রেম, এ দটাে আছে 乙卒两? কিরণময়ী হাসিয়া উঠিল । বলিল, তোমার তকটা ঠিক সতীশ-ঠাকুরপোর মত হলো। সংসারে ও-দিনটো থাকবার কথা বলেই আছে। মানষের প্রবত্তি জিনিসটা যক্তি নয় বলেই আছে। যাকে ঘণিত বলচ, সেটা আসলে সবদ্ধির অভাব । অৰ্থাৎ ষাকে ভালবাসা উচিত ছিল না, তাকেই ভালবাসা । অসাবধানে গাছ থেকে পড়ে হাত-পা ভাঙ্গার অপরাধ মাধ্যাকর্ষণের উপর চাপান, আর প্রেমকে কুৎসিত ঘণিত বলা সমান কথা । ঠাকুরপো, এমনি করেই সংসারে একের অপরাধ অপরের মাথায় চেপে যায়, বলিয়া সহসা কিরণময়ী চুপ করিয়া নিজের অন্তরের মধ্যে কি কথা যেন তলাইয়া দেখিয়া আসিল । পরীক্ষণেই কহিল, তোমাকে পাবেই বলেচি, জীবের প্রতি অণ-পরমাণ, প্রতি রক্তকণা নিজের উৎকৃষ্টতর পরিণতির মধ্যে বিকাশ করবার লোভ কোনমতেই সংবরণ করিতে পারে না । যে দেহে তার জন্ম, সেই দেহের মধ্যে তখন তার পরিণতির নিদিষ্ট সীমা শেষ হয়ে যায়, তখন সেই তার যৌবন । তখনই BBS DBS SDD DBSBBBD DDDBDBD DBBDBD BBDL S zDD DuuDuDuBuu DDBK বিপ্লবের ষে তাড়ব সন্টি করে, তাকেই পণ্ডিতদের নীতিশাস্ত্রে পাশবিক বলে গ্লানি করা হয় । তাৎপৰ্য না বািকতে পেরেই হতবন্ধি বিজ্ঞের দল একে ঘণিত বলে, বীভৎস বলে সাস্তবনা লাভ করে। কিন্তু আজ তোমাকে আমি নিশ্চয় বলাঁচ ঠাকুরপো, এত বড় আকর্ষণ কোন মতেই অমন হোন্ন, অমন ছোট হতে পারে না। এ সত্য । সবের আলোর মত সত্য ৷ ব্ৰহ্মান্ডের আকর্ষণের মত সত্য। কোন প্রেমই কোলকিন ঘণার বস্ত হতে পারে না- ৷ কথা শনিয়া দিবাকর যথার্থই বিহবল হইয়া উঠিল । তাহার কেমন যেন ৰক্ষের