কথা বলবার সঙ্গী পায়নি অনেকদিন। দু’জনে প্ল্যাটফর্ম্মের এদিক ওদিক পায়চারী করলে।
শঙ্কর বল্লে — কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা কেন?
গুজরাটি ভদ্রলোকটী বল্লে — ও কিছু নয়। নির্জ্জন জায়গা — তাই।
শঙ্করের মনে হোল কি একটা কথা লোকটা গোপন করে গেল। শঙ্করও আর পীড়াপীড়ি করলে না। রাত্রে ভদ্রলোক রুটী গড়ে শঙ্করকে খাবার নিমন্ত্রণ করলে। খেতে বসে হঠাৎ লোকটী চেঁচিয়ে উঠল— ঐ যাঃ, ভুলে গিয়েছি।
- কি হোল?
- খাবার জল নেই মোটে, ট্রেণ থেকে নিতে একদম ভুলে গিয়েচি।
- সে কি? এখানে খাবার জল কোথাও পাওয়া যায় না?
- কোথাও না। একটা কুয়ো আছে, তার জল বেজায় তেতো আর কসা। সে জলে বাসন মাজা ছাড়া আর কোনো কাজ হয় না। খাবার জল ট্রেণ থেকে দিয়ে যায়।
বেশ জায়গা বটে। খাবার জল নেই, মানুষ-জন নেই। এখানে ষ্টেশন করেছে কেন তা শঙ্কর বুঝতে পারলে না।
পরদিন সকালে ভূতপূর্ব্ব ষ্টেশন মাস্টার চলে গেল। শঙ্কর পড়ল একা। নিজের কাজ করে, রাঁধে খায়, ট্রেণের সময় প্ল্যাটফর্ম্মে গিয়ে দাঁড়ায়। দুপুরে বই পড়ে কি বড়