পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ठांकून $తా: না। কোনো ব্যক্তি—তাহার যত-বড়ো ক্ষমতাই থাক্, পৃথিবীর সমস্ত মানবাত্মার জন্ত নিশ্চেষ্ট জড়ত্বের মুগমতা চিরদিনের জন্ত বানাইয়া, দিয়া যাইবেন, মানুষের এমন দুৰ্গতি বিশ্ববিধাতা কখনই সহ করিতে পারেন না । এইজন্ত প্রত্যেক মানুষের মনের গভীরতর স্তরে ঈশ্বর একটি স্বাতন্ত্র্য দিয়াছেন ; অন্তত সেখানে একজনের উপর আর একজনের কোনো অধিকার নাই। সেখানেই তাহার অমরতার বীজকোষ বড়ে সাবধানে রক্ষিত ; সেইখানেই তাহাকে নিজের শক্তিতে নিজে সার্থক হইত। হইবে। সহজের প্রলোভনে এই জায়গাটার দখল যে ব্যক্তিই ছাড়িয়া দিতে চায়, সে লাভে-মূলে সমস্তই হারায় । সেই ব্যক্তিই ধৰ্ম্মের বদলে সম্প্রদায়কে, ঈশ্বরের বদলে গুরুকে, বোধের বদলে গ্রন্থকে লইয়া চোখ বুজিয়া বসিয়া থাকে। শুধু বসিয়া থাকিলেও বাচিতাম, দল বাড়াইবার চেষ্টায় পৃথিবীতে অনেক ব্যর্থতা এবং অনেক বিরোধের স্বষ্টি করে। এইজন্ত বলিতেছিলাম, মহাপুরুষেরা ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করিয়া ষান, আর আমরা তাহার মধ্য হইতে সম্প্রদায়টাই লই, ধৰ্ম্মট লই না। কারণ, বিধাতার বিধানে ধৰ্ম্মজিনিষটাকে নিজের স্বাধীনশক্তির দ্বারাই পাইতে হয়, অন্তের কাছ হইতে তাহা আরামে ভিক্ষা মাগিয়া লইবার জো নাই। কোনো সত্যপদার্থই আমরা আর কাহারো কাছ হইতে কেবল হাত পাতিয়া চাহিয়া পাইতে পারি না। যেখানে সহজ রান্ত৷ খরিয়া ভিক্ষা করিতে গিয়াছি, সেখানেই ফাকিতে পড়িয়াছি । তেমন করিয়া যাহা পাইয়াছি, তাহাতে আত্মার পেট ভরে নাই কিন্তু আত্মার জাত গিয়াছে। 鴨 তবে ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ব্যাপারটাকে আমরা কী চোখে দেখিব ? তাহাকে এই বলিয়াই জানিতে হইবে যে, তাহা তৃষ্ণ মিটাইবার জল নহে, তাহা