পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাষ দেবেন্ত্রনাথ ঠাকুর ) అt উপহার সম্মুখে গিয়া জামাদিগকে নিজে স্বীকার করিতে হইবে । সম্রাটু বখন আমাকে দরবারে ডাকেন, তখন প্রতিনিধি পাঠাইয়া কি কাজ সারিতে পারি ? ঈশ্বর ষে আমাদের প্রত্যেককে ডাক দিয়াছেন, লেই ডাকে সাড়া দিয়া একেবারে সম্পূর্ণভাবে তাহার কাছে আত্মসমর্পণ করিতে না পারিলে কোনোমতেই আমাদের সার্থকতা নাই ! - মহাপুরুষদের জীবন হইতে এই কথাটাই আমরা জানিতে পারি। যখন দেখি, তাহার। হঠাৎ সকল কাজ ফেলিয়। তাড়াতাড়ি ছুটিয়াছেন, তখন বুঝিতে পারি, তবে তো আহবান আসিতেছে,—আমরা শুনিতে থাই নাই, কিন্তু র্তাহারা শুনিতে পাইয়াছেন। তখন চারিদিকের কোলাহল হইতে ক্ষণকালের জন্ত মনটাকে টানিয়া লই, আমরাও কান পাতিয় দাড়াই। অতএব মহাপুরুষদের জীবন হইতে আমরা প্রথমে স্পষ্ট জানিতে পারি, আত্মার প্রতি পরমাত্মার আহবান কতখানি সত্য। এই জানিতে পারাটাই লাভ । I - তার পরে আর একদিন তাহাদিগকে দেখিতে পাই, মুখে-দুঃখে র্তাহার শাস্ত, প্রলোভনে তাহারা অবিচলিত, মঙ্গলব্রতে র্তাহারা দৃঢ়প্রতিষ্ঠ। দেখিতে পাই, তাহাদের মাথার উপর দিয়া কত ঝড় চলিয়া যাইতেছে, কিন্তু র্তাহাদের হাল ঠিক আছে ; সৰ্ব্বস্বক্ষতির সম্ভাৰনা তাহাদের সম্মুখে বিভীষিকারূপে আবিভূত হইয়াছে, কিন্তু ভঁাহারা অনায়াসেই জাহাকে স্বীকার করিয়া দ্যায়ুপথে ধ্রুব হইয়া আছেন ; আত্মীয়বন্ধুগণ র্তাহাদিগকে পরিত্যাগ করিতেছে, কিন্তু তাহারা প্রসন্ধচিত্তে সে সকল বিচ্ছেদ বহন করিতেছেন ; তখনই আমরা বুঝিতে পারি, আমরা কী পাই নাই, আর তাহারা কী পাইয়াছেন। সে কোন শাস্তি, কোন বন্ধু, কোন সম্পদ! তখন বুঝিতে পারি, আমাদিগকেও নিতান্তই কী পাওয়া চাই, কোন লাভে আমাদের সকল অন্বেষণ শান্ত হইয়া যাইবে ।