পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগরচরিত ২৩ প্রত্যহ খাইতে পাইলে পূজা করিবার আগুক নাই।” এ কথাটি সহজ কথা নহে,—তাহার নির্মলবুদ্ধি এবং উজ্জ্বল দয়া, প্রাচীন সংস্কারের মোহাবরণ যে এমন অনায়াসে বর্জন করিতে পারে, ইহা আমার নিকট বড়ে বিস্ময়কর বোধ হয় । লৌকিকপ্রথার বন্ধন রমণীর কাছে বেষন দৃঢ়, এমন আর কার কাছে ? অথচ, কী আশ্চৰ্য্যস্বাভাবিক চিত্তশক্তির দ্বারা তিনি জড়তাময় প্রথাভিত্তি ভেদ করিয়া নিত্যজ্যোতিৰ্ম্ময় অনন্ত বিশ্বধৰ্ম্মাকাশের মধ্যে উত্তীর্ণ হইলেন । এ কথা তাহার কাছে এত সহজ বোধ হইল কী করিয়া যে, মন্ত্রন্থের সেৰাই যথার্থ দেবতার পূজা ? তাহার কারণ, সকল সংহিত। অপেক্ষ প্রাচীনতম সংহিতা তাহার হৃদয়ের মধ্যে স্পষ্টাক্ষরে লিখিত ছিল । সিবিলিয়ান হারিসন্সাহেব যখন কার্য্যোপলক্ষ্যে মেদিনীপুরজেলায় গমন করেন, তখন ভগবতী দেবী তাহাকে স্বনামে পত্র পাঠাইয়া বাড়িতে নিমন্ত্রণ করিয়া আনিয়াছিলেন ; তৎসম্বন্ধে তাহার তৃতীয়পুত্র শম্ভুচন্ত্র নিম্নলিখিত বর্ণনা প্রকাশ করিয়াছেন ;–“জননীদেবী সাহেবের ভোজনসময়ে উপস্থিত থাকিয়। র্তাহাকে ভোজন করাইয়াছিলেন। তাহাতে সাহেব আশ্চর্যান্বিত হইয়াছিলেন যে, অতি বৃদ্ধ হিন্দুস্ত্রীলোক সাহেবের ভোজনসময়ে চিয়ারে উপবিষ্ট হইয়া কথাবাৰ্ত্ত কহিতে প্রবৃত্ত হইলেন । ... ..সাহেব হিন্দুর মত জননীকে ভূমিষ্ঠ হইয়। মাতৃভাবে অভিবাদন করেন । তদনন্তর নানা বিষয়ের কথাবাৰ্ত্ত হইল। জননীদেবী প্রবীণ হিন্দুস্ত্রীলোক, তথাপি র্তাহার স্বভাব অতি উদার, মন অতিশয় উন্নত, এবং মনে কিছুমাত্র কুসংস্কার নাই। কি ধনশালাঁ কি দরিদ্র, কি বিদ্বান কি মূখ, কি উচ্চজাতীয় কি নীচজাতীয়, কি পুরুষ কি স্ত্রী, কি হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী কি অন্তধৰ্ম্মাবলম্বী, সকলেরই প্রতি সমদৃষ্টি ।* • नtशक्द्र नछ,कत्र विशाब्रङ्ग यनौठ विशांनात्रब्रजीवनकब्रिठ, *** १४ ।।