পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগরচরিত ●> মাতা রোদন করিতে করিতে চণ্ডীমণ্ডপে আসিয়া একটি বালিকার বৈধব্যসংঘটনের উল্লেখ করিয়া তাহাকে বলিলেন, তুই এতদিন এত শাস্ত্র পড়িলি, তাহাতে বিধবার কি কোনো উপায় নাই ?• মাতার পুত্র উপায়-অন্বেষণে প্রবৃত্ত হইলেন । স্ত্রীজাতির প্রতি বিদ্যাসাগরের বিশেষ স্নেহ অথচ ভক্তি ছিল । ইহাও তাছার মুমহৎ-পৌরুষের একটি প্রধান লক্ষণ। সাধারণত আমরা স্ত্রীজাতির প্রতি ঈর্ষাবিশিষ্ট ; অবল স্ত্রীলোকের মুখ-স্বাস্থ্য-স্বচ্ছন্দতা আমাদের নিকট পরম পরিহাসের বিষয়, প্রহসনের উপকরণ। আমাদের ক্ষুদ্রতা ও কাপুরুষতার অন্তান্ত লক্ষণের মধ্যে ইহাও একটি। বিদ্যাসাগর শৈশবে জগদলন্তবাবুর বাসায় আশ্রয় পাইয়াছিলেন। জগদ্ধ লভের কনিষ্ঠ ভগিনী রাইমণির সম্বন্ধে তিনি স্বরচিত জীবনবৃত্তান্তে যাহা লিখিয়াছেন, তাহ এস্থলে উদ্ধৃত করা যাইতে পারে। “রাইমণির অদ্ভুত স্নেহ ও যত্ন আমি কস্মিনকালেও বিস্তৃত হইতে পারিব না। র্তাহার একমাত্র পুত্র গোপালচন্দ্র ঘোষ আমার প্রায় সমবয়স্ক ছিলেন। পুত্রের উপর জননীর যেরূপ স্নেহ ও যত্ন থাকা উচিত ও আবগুক, গোপালচন্দ্রের উপর রাইমণির স্নেহ ও যত্ন তদপেক্ষ অধিকতর ছিল, তাহার সংশয় নাই। কিন্তু আমার আন্তরিক দৃঢ়বিশ্বাস এই যে, স্নেহ ও যত্নবিষয়ে আমায় ও গোপালে রাইমণির অণুমাত্র বিভিন্নভাব ছিল না। ফল কথা এই, স্নেহ, দয়া, সৌজন্ত, অমায়িকতা, সদ্বিবেচনা প্রভৃতি সদগুণবিষয়ে, রাইমণির সমকক্ষ স্ত্রীলোক এ পর্য্যস্ত আমার নয়নগোচর হয় নাই। এই দয়াময়ীর সৌম্যমূৰ্ত্তি আমার হৃদয়মন্দিরে দেবীমূৰ্ত্তির ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হইয়া বিরাজমান রহিয়াছে। প্রসঙ্গক্রমে র্তাহার কথা উত্থাপিত হইলে তদীয় অপ্রতিমগুণের কীৰ্ত্তন করিতে করিতে অশ্রপাত गन्जरहाता। नख्ध्वा विषाबङ्ग थगौठ विमानात्रव्रजौवनsॉबठ, ••• शृé। ==