পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষ্ঠীসাগরচরিত ףט এমন কি, (চওঁীচরণবাৰুর গ্রন্থে লিখিত আছে ) কাশ্মাটাড়ে এক মেথরজাতীয় স্ত্রীলোক ওলাউঠায় আক্রাস্ত হইলে বিজ্ঞাসাগর স্বয়ং তাহার কুটীরে উপস্থিত থাকিয়া শ্বহস্তে তাহার সেবা করিতে কুষ্ঠিত হন নাই । ৰদ্ধমানবাসকালে তিনি তাহার প্রতিবেশী দরিদ্র মুসলমানগণকে আত্মীয়নিৰ্ব্বিশেষে যত্ন করিয়াছিলেন। ঐযুক্ত শম্ভুচন্দ্র বিস্তারত্ব মহাশয় তাহার সহোদরের জীবনচরিতে লিখিতেছেন—“আল্লচ্ছত্রে ভোজনকারিণী স্ত্রীলোকদের মস্তকের কেশগুলি তৈলাভাবে বিরূপ দেখাইত। অগ্রজমহাশয় তাহ অবলোকন করিয়া দুঃখিত হইয়া তৈলের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। প্রত্যেককে দুইপলা করিয়া তৈল দেওয়া হইত। যাহারা তৈল বিতরণ করিত, তাহারা, পাছে মুচি, হাড়ি, ডোম প্রভৃতি অপকৃষ্টজাতীয় স্ত্রীলোক স্পর্শ করে, এই আশঙ্কায় তফাৎ হইতে তৈল দিত, ইহা দেখিয়া অগ্রজমহাশয় স্বয়ং উক্ত অপকৃষ্ট ও অস্পৃপ্ত জাতীয় স্ত্রীলোকদের মাথায় তৈল মাখাইয়া দিতেন।” এই ঘটনাশ্রবণে আমাদের হৃদয় যে ভক্তিতে উচ্ছসিত হইয় উঠে, তাহা বিদ্যাসাগরের দয়া অনুভব করিয়া নহে—কিন্তু তাহার দয়ার মধ্য হইতে যে একটি নিঃসঙ্কোচ বলিষ্ঠ মনুষ্যত্ব পরিস্ফুট হইয়া উঠে, তাহ দেখিয়া আমাদের এই নীচজাতির প্রতি চিরাভ্যস্ত ঘৃণাপ্রবণ মনও আপন নিগুঢ় মানবধৰ্ম্মবশত ভক্তিতে আকৃষ্ট না হইয়া থাকিতে পারে না । র্তাহার কারুণ্যের মধ্যে যে পৌরুষের লক্ষণ ছিল, তাহার অনেক উদাহরণ দেখা যায়। আমাদের দেশে আমরা বাহাদিগকে ভালোমানুষ অমায়িকপ্রকৃতি বলিয়। প্রশংসা করি, সাধারণত র্তাহাদের চক্ষুলজ বেশি। অর্থাৎ কর্তব্যস্থলে তাহারা কাহাকেও বেদনা দিতে পারেন না । বিদ্যাসাগরের দয়ায় সেই কাপুরুষতা ছিল না। ঈশ্বরচন্দ্র যখন কলেজের