পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চারিত্রপূজা سCb\ ছাত্র ছিলেন, তখন র্তাহীদের বেদান্ত-অধ্যাপক শম্ভুচন্দ্র বাচস্পতির সহিত তাহার বিশেষ প্রতিবন্ধন ছিল। বাচস্পতিমহাশয় বৃদ্ধবয়সে পুনরায় দারপরিগ্রহ করিবার ইচ্ছা করিয়া তাহার প্রিয়তম ছাত্রের মত জিজ্ঞাসা করিলে ঈশ্বরচন্দ্র প্রবল আপত্তিপ্রকাশ করিলেন । শুরু বারংবার কাকুতিমিনতি করা সত্বেও তিনি মত পরিবর্তন করিলেন না। তখন বাচস্পতিমহাশয় ঈশ্বরচন্দ্রের নিষেধে কৰ্ণপাত না করিয়া এক মুন্দরী বালিকাকে বিবাহপূর্বক তাহাকে আণ্ড বৈধব্যের তটদেশে আনয়ন করিলেন। শ্ৰীযুক্ত চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় তাহার বিদ্যাসাগর গ্রন্থে এই ব্যাপারের যে পরিণাম বর্ণন করিয়াছেন, তাহা এইস্থলে উদ্ধৃত করি। # “বাচস্পতিমহাশয় ঈশ্বরচন্দ্রের হাত ধরিয়া বলিলেন, "তোমার মাকে দেখিয়া যাও । এই বলিয়া দাসীকে নববধূর অবগুণ্ঠন উন্মোচন করিতে বলিলেন । তখন বাচস্পতিমহাশয়ের নববিবাহিত পত্নীকে দেখিয়া ঈশ্বরচন্দ্র অশ্রুসংবরণ করিতে পারিলেন না। সেই জননীস্থানীয়া বালিকাকে দর্শন করিয়া ও এই বালিকার পরিণাম চিস্তা করিয়া বালকের স্থায় রোদন করিতে লাগিলেন। তখন বাচস্পতিমহাশয় ‘অকল্যাণ করিসূ না রে’ বলিয়া তাহাকে লইয়া বাহিরবাটীতে আসিলেন এবং নানাপ্রকার শাস্ত্রীয় উপদেশের দ্বারা ঈশ্বরচন্দ্রের মনের উত্তেজনা ও হৃদয়ের আবেগ রোধ করিতে ও র্তাহাকে শাস্ত করিতে প্রয়াস পাইতে লাগিলেন। এইরূপ বহুবিধ প্রবোধবাক্যে শাস্ত করিতে প্রয়াস পাইয়া শেষে ঈশ্বরচন্দ্রকে কিঞ্চিৎ জল খাইতে অনুরোধ করিলেন। কিন্তু পাষাণতুল্য-কঠিন প্রতিজ্ঞা-পরায়ণ ঈশ্বরচন্দ্র জলযোগ করিতে সম্পূর্ণরূপে অসম্মত হইয়া বলিলেন, "এ ভিটায় আর কখনও জলস্পর্শ করিব না’।” বিদ্যাসাগরের হৃদয়বৃত্তির মধ্যে ষে বলিষ্ঠত দেখা যায়, তাহার বুদ্ধি