পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Vり চারিত্রপূজা আমাদের প্রত্যক্ষ সন্নিহিতভাবে পরিচয় হইবে, ততই আমরা নিজের অন্তরের মধ্যে অনুভব করিতে থাকিব যে, দয়া নহে, বিদ্যা নহে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের চরিত্রে প্রধান গৌরব তাহার অজেয় পৌরুষ, তাহার অক্ষয় মন্থন্যত্ব এবং যতই তাহ অনুভব করিব, ততই আমাদের শিক্ষণ সম্পূর্ণ ও বিধাতার উদ্বেগু সফল হইবে, এবং বিদ্যাসাগরের চরিত্র বাঙালির জাতীয়জীবনে চিরদিনের জন্ত প্রতিষ্ঠিত হইয়া থাকিবে। | ۹ ه تالا শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় বিদ্যাসাগরের জীবনীসম্বন্ধে যে প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়াছেন, তাহার আরম্ভে যোগবাশিষ্ঠ হইতে নিম্নলিখিত শ্লোকটি উদ্ধৃত করিয়া দিয়াছেন— “उब्रट्नश्ििन श् िऔषछि औपछि भ्रूणश्रकि१: । স জীৰতি মনে যন্ত মননেন হি জীবতি ॥” “তরুলতাও জীবনধারণ করে, পশুপক্ষীও জীবনধারণ করে ; কিন্তু সে-ই প্রকৃতরূপে জীবিত, যে মনের দ্বারা জীবিত থাকে।’ মনের জীবন মননক্রিয়া এবং সেই জীবনেই মনুষ্যত্ব । প্রাণ সমস্ত দেহকে ঐক্যদান করিয়া তাহার বিচিত্র কার্য্যসকলকে একতন্ত্রে নিয়মিত করে। প্রাণ চলিয়া গেলে দেহ পঞ্চস্বপ্রাপ্ত হয়, তাহার ঐক্য ছিন্ন হইয়া মাটির অংশ মাটিতে, জলের অংশ জলে মিশিয়া যায়। নিয়তক্রিয়াশীল নিরলস প্রাণই এই শরীরটাকে মাটি হইতে, জল হইতে