পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগরচরিত &é দয়ার আবেশ হয়। আমরা হয় তো পুলিসকে ডাকি কিংবা ঠিকাগাড়িতে চড়াইয়া দিয় তাহাকে সরকারী দরিদ্রাশ্রমে পাঠাই, অথবা বড়ো জোর সরকারী দরিদ্রপালনব্যবস্থার অসম্পূর্ণতার বিরুদ্ধে টাইমসৃপত্রে প্রবন্ধ লিখিয়া পাঠাই । কিন্তু এ প্রশ্ন বোধ করি জিজ্ঞাসা না করাই ভালো যে, কয়জন সাধু আছেন, র্যাহারা তাহাকে কাধে করিয়া নিজের বাড়িতে লইয়া যাইতে পারেন, এবং তাহার অভাবসকল মোচন করিয়া দিয়া তাহার জীবনযাত্রার সুব্যবস্থা করিয়া দেন। অনেক বড়োলোকের জীবনে আমরা সাধুভাব ও সদাচার দেখিতে পাই ; কিন্তু ভালোলোকের মধ্যেও এমন আদর্শ সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায় না, যাহার জীবন প্রচলিত লোকাচারের দ্বারা গঠিত নহে, অথবা যাহার হৃদয়বৃত্তি চিরাভ্যস্ত শিষ্টপ্রথার বাধা-খাল উদ্বেল করিয়| উঠিতে পারে। জনসনের চরিত্রের প্রতি আমাদের যে প্রতি জন্মে, তাহার প্রধান কারণ, তাহার জীবন যে নেমি আশ্রয় করিয়া আবৰ্ত্তিত হইত, তাহা মহত্ব, তাহা প্রথামাত্রের দাসত্ব নহে । * * * অ্যাডিসন দেখাইয়াছিলেন, খৃষ্টানের মরণ কিরূপ –কিন্তু র্তাহার জীবন আরামের অবস্থা ও ষ্টেটুসেক্রেটারির পদ এবং কাউণ্টেসের সহিত বিবাহের মধ্য দিয়া অতি অবাধে প্রবাহিত হইয়াছিল ; মাঝে মাঝে পোর্ট মদিরার অতিসেবন ছাড়া আর কিছুতেই তাহার নাড়ি ও তাহার মেজাজকে চঞ্চল করিতে পারে নাই। কিন্তু আর একজন কঠিন বৃদ্ধ তীর্থযাত্রী, যিনি অন্তর এবং বাহিরের দুঃখরাশিসত্ত্বেও যুদ্ধ করিয়া জীবনকে শাস্তির পথে লইয়া গেছেন, যিনি এই সংসারের মায়ার হাটে উপহসিত হইয়। মৃত্যুচ্ছায়ার অন্ধগুহামধ্যে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, এবং যিনি নৈরাশুদৈত্যের বন্ধন হইতে বহু চেষ্টায়, বহু কষ্টে উদ্ধার পাইয়৷ ছিলেন, তাহার মৃত্যুশয্যায় আমাদের মনে গভীরতর ভাবাবেগ উচ্ছসিত হইয়া উঠে। যখন দেখিতে পাই, এই লোকের অস্তিমকালের হৃদয়বৃত্তি