পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woo চারিত্রপূজা একদা সেই চিত্ত ছিল ভারতের, তার ছিল বহমান মননধারা। সে বলতে পেরেছিল আয়ত্ত্ব সৰ্ব্বত: স্বাহ, সকলে আমুক সকল দিক থেকে, পৃথ্বস্তু বিশ্বে, গুমুক বিশ্বের লোক ; বলেছিল, বেদাহম, আমি জানি, এমন কিছু জানি যা বিশ্বের সকলকে আমন্ত্রণ ক’রে জানাবার। যে তার জ্যোতিহীন তাকে নিখিল নক্ষত্ৰলোক স্বীকার করে না। প্রাচীন ভারত নিত্যকালের মধ্যে আপন পরিচয়কে দীপ্যমান করেছে, বিশ্বলোকে সে প্রকাশিত হয়েছে প্রভূত দক্ষিণ্যে আপনাকে দান করার দ্বারা । সেদিন সে ছিল না অকিঞ্চন-রূপে অকিঞ্চিৎকর । শত শত বৎসর চলে গেল, ইতিহাসের পুরোগামিনী গতি হোলো নিস্তব্ধ, ভারতবর্ষের মনোলোকে চিন্তার মহানদী গেল শুকিয়ে । তখন দেশ হয়ে পড়ল স্থবির, আপনার মধ্যে আপনি সঙ্কীর্ণ, তার সজীব চিত্তের তেজ আর বিকীর্ণ হয় না দূর দূরান্তরে। শুকনো নদীতে যখন জল চলে না, তখন তলাকার অচল পাথরগুলো পথ আগলে বসে, তারা অসংলগ্ন, তা’র অর্থহীন, পথিকদের তা’রা বিল্প। তেমনি দুদিন যখন এল এই দেশে, তখন জ্ঞানের চলমান গতি হোলো অবরুদ্ধ, নিজ্জীব হোলো নব নবোন্মেষশালিনী বুদ্ধি, উদ্ধত হয়ে দেখা দিল নিশ্চল আচারপুঞ্জ, আনুষ্ঠানিক নিরর্থকতা. মননহীন লোকব্যবহারের অভ্যস্ত পুনরাবৃত্তি। সৰ্ব্বজনের প্রশস্ত রাজপথকে তা’র বাধাগ্রস্ত করলে ; খণ্ড খণ্ড সঙ্কীর্ণ সীমানার বাইরে বিচ্ছিন্ন করলে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্বন্ধকে । ঘুমের অবস্থায় মনের জানলা যখন সব বন্ধ হয়ে যায়, মন হয় বন্দী। তখন যে সব স্বপ্ন নিয়ে সে খেলা করে, বিশ্বসত্যের সঙ্গে তাদের যোগ নেই, কেবলমাত্র সেই স্থপ্ত মনের নিজের উপরেই তাদের প্রভাব এক কেন্দ্রে আবৰ্ত্তিত, তা তারা যতই অদ্ভূত হোক, অসঙ্গত হোক, উৎকট হোক। বাহিরের বাস্তব রাজ্য থেকে এই স্বপ্নরাজ্যে আর কারো