পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૨ চারিত্রপুঞ্জ বিরুদ্ধতাই ভারতে এত প্রভূত এত প্রবল। ইংলণ্ড ক্ষুদ্র দ্বীপের সীমায় বদ্ধ, সেই জন্তেই তার সাধনা গেছে দ্বৈপায়নতার বিপরীত দিকে, বিশ্বে সে আপনাকে মুদুরে বিস্তার করেছে। দেশের বিশেষ অবস্থার মধ্যেই দেশের অঞ্জলি পাত রয়েছে, সেই অঞ্জলির অর্থই এই যে, তার শুষ্ঠতাকে পূর্ণ করতে হবে । । প্রত্যেক জাতির মধ্যে আছে তার নিহিতার্থ, তার বিশেষ সমস্ত, সেই অর্থ তাকে পূরণ করতে হয় নিরন্তর প্রয়াসে। এই প্রয়াসের দ্বারাই তার চরিত্র স্বঃ হয়, তার উদ্ভাবনীশক্তি বল লাভ করে । মানুষকে তার মনুষ্যত্ব প্রতিক্ষণে জয় করে নিতে হয়, প্রত্যেক জাতির ইতিহাস আপন জয়যাত্রার ইতিহাস। কঠিন বাধা দূর করবার পথেই তার স্বাস্থ্য তার সম্পদ। এই জন্তেই বলেছে বীরভোগ্য। বসুন্ধর । দুর্গমকে সুগম করতে এসেছে মামুন, দুলাভকে উপলব্ধ । বিশেষ জাতিকে যে বিশেষ সমস্ত দিয়েছেন বিধাতা, তার সত্য উত্তর দিতে থাকার মধ্যেই তার পরিত্রাণ। যারা সমাধান করতে ভুল করেছে তারা মরেছে । আর দুৰ্গতিগ্রস্ত হয়েছে তারাই যারা মনে করেছে তাদের সমাধান করবার কিছুই নেই, সমস্ত সমাধা হয়ে গেছে। যতক্ষণ মানুষের প্রাণ আছে ততক্ষণই তার সমস্ত, অবিরত সমস্তার উত্তর দিতে থাকাই প্রাণনক্রিয়া। চারিদিকে জড়ের জটিল বাধা নিত্যই, সেই বাধা নিত্যই ভেদ করার দ্বারা প্রাণ আপনাকে সপ্রমাণ করে । ইতিহাসে যে জটা পাকিয়ে থাকে সেই গ্রন্থিকেই সনাতন ব’লে ভক্তি করলে সেট মরণের ফঁাস হয়ে ওঠে । মানব-ইতিহাসের প্রধান সমস্তাটা কোথায় ? যেখানে কোনো অন্ধতায় কোনো মূঢ়তায় মানুষে মানুষে বিচ্ছেদ ঘটায় । মানবসমাজের সৰ্ব্বপ্রধান তত্ত্ব মানুষের ঐক্য। সভ্যতার অর্থই হচ্চে মানুষের একত্র