পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত পথিক রামমোহন রায় W26: শৈথিল্যে মানুষ ব্যর্থ হয়, তার কারণ সমবায় ধৰ্ম্ম মানুষের সত্যধৰ্ম্ম, তার শ্রেষ্ঠতার হেতু। ঐক্যবোধের উপদেশ উপনিষদে যেমন একান্তভাবে ব্যাখ্যাত হয়েছে এমন কোনো দেশে কোনো শাস্ত্রে হয়নি। ভারতবর্ষেই বলা হয়েছে, বিদ্বান ইতি সৰ্ব্বাস্তরস্থঃ স্বসংবিন্ধপবিদ বিদ্বান । নিজেরই চৈতন্তকে সৰ্ব্বজনের অন্তরস্থ ক’রে যিনি জানেন তিনিই বিদ্বান । অথচ এই ভারতবর্ষেই অসংখ্য কৃত্রিম অর্থহীন বিধিবিধানের দ্বারা পরস্পরকে যেমন অত্যন্ত পৃথক ক’রে জানা হয় পৃথিবীতে এমন আর কোনো দেশেই নেই। সুতরাং একথা বলতে হবে ভারতবর্ষে এমন একটা বাহা স্থূলত রয়ে গেছে যা ভারতবর্ষের অন্তরতর সত্যের বিরুদ্ধ, যার মৰ্ম্মাস্তিক আঘাত দীর্ঘকাল ধরে ভারতের ইতিহাসে প্রকাশ পাচ্চে নানা দুঃখে .দারিদ্র্যে অপমানে । এই দ্বন্দ্বের মাঝখানে ভারতবর্ষের শাশ্বত বাণীকে জয়যুক্ত করতে কালে কালে যে মহাপুরুষেরা এসেছেন বর্তমান যুগে রামমোহন রায় র্তাদেরই অগ্রণী। এর আগেও নিবিড়তম অন্ধকারের মধ্যে মাঝে মাঝে শোনা গিয়েছে ঐক্যবাণী । মধ্যযুগে অচল সংস্কারের পিঞ্জর দ্বার খুলে বেরিয়ে পড়েছেন প্রত্যুষের অতন্দ্রিত পাখী, গেয়েছেন র্তারা আলোকের অভিবনান গান সামাজিক জড়ত্বপুঞ্জের উদ্ধ আকাশে। তারা সেই মুক্ত প্রাণের বার্তা এনেছেন, উপনিষদ যাকে সম্বোধন করে বলেছেন "ব্রাত্যত্বং প্রাণ", হে প্রাণ, তুমি ব্রাত্য, তুমি সংস্কারে বিজড়িত স্থাবর নও। সেই মুক্তিদূতের মধ্যে একজন ছিলেন কবীর, তিনি নিজেকে ভারতপথিক ব'লে জানিয়েছেন। নানা জটিল জঙ্গলের মধ্যে এই ভারতপথকে যারা দেখতে পেয়েছিলেন তাদের মধ্যে আর একজন ছিলেন দাদু। তিনি বলেন,— (t