পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত পথিক রামমোহন রায় \به وی আদর্শের দিক থেকে ভারতের ইতিহাসে শুভবুদ্ধি দ্বারা সংযুক্ত মানুষের এক মহারাপ অস্তরে দেখেছিলেন। ভারতের উদার প্রশস্ত পন্থায় তিনি সকলকেই আহ্বান করেছেন, যে পন্থায় হিন্দুমুসলমান খৃষ্টান সকলেই অবিরোধে মিলতে পারে । সেই বিপুল পন্থাই যদি ভারতের না হয়, যদি আচারের কাটার বেড়ায় বেষ্টিত সাম্প্রদায়িক শতথওতাই হয় ভারতের নিত্যপ্রকৃতিগত, তাহোলে তো আমাদের বাচবার কোনো উপায় নেই। ঐ তো এসেছে মুসলমান, ঐ তো এসেছে খৃষ্টান,— “সাধন মাহি জোগ নহি জৈ, ক্যা সাধন পরমাণ” ঐতিহাসিক সাধনায় এদের যদি যুক্ত করতে না পারি তাহোলে সাধনার প্রমাণ হবে কিসে? এদের অঙ্গীভূত ক’রে নেবার প্রাণশক্তি যদি ভারতের না থাকে, পাথরের মতো কঠিন পিওঁীভূত হয়ে এদের বাইরে ঠেকিয়ে রাখাই যদি আমাদের ধৰ্ম্ম হয়, তবে সেই পুঞ্জ পুঞ্জ অসংশ্লিষ্ট অনাত্মীয়তার নিদারুণ ভার সইবে কে ? প্রতিদিন কি এরা স্খলিত হয়ে পড়ছে না দলে দলে, সমাজের নিচের স্তরে কি গৰ্ত্ত প্রসারিত হচ্চে না । আপনার লোক যখন পর হয়ে যায় তখন সে যে নিদারুণ হয়ে ওঠে তার কি প্রমাণ পাচ্চিনে ? যাদের অবজ্ঞা করি তাদের আলগা করে রাখি, যাদের ছুইনে তাদের ধরতে পারিনে। আপনাকে পর করবার যে সহস্ৰ পথ প্রশস্ত করে রেখেছি সেই পথ দিয়েই শনির যত চর দেশে প্রবেশ করছে। আমাদের বিপুল জনতরণীর তক্তাগুলিকে সাবধানে ফাক ফঁাক ক’রে রাখাকেই যদি ভারতের চিরকালীন ধৰ্ম্ম ব’লে গণ্য করি, তাহোলে বাইরের তরঙ্গগুলোকে শক্র ঘোষণা ক’রে কেন মিছে বিলাপ করা, তাহোলে বিনাশের লবণাশ্রসমুদ্রে তলিয়ে যাওয়াকেই ভারত ইতিহাসের চরম