পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭ . চারিত্রপূজা লক্ষ্য ব’লে নিশ্চেষ্ট থাকাই শ্রেয়। সেচনী দিয়ে ক্রমাগত জল সেঁচে সেঁচে কতদিন চলবে আমাদের জীর্ণ ভাগ্যের তরী বাওয়া । আমাদের ইতিহাসের আধুনিক পর্বের আরম্ভ কালেই এসেছেন রামমোহন রায়। তখন এ যুগকে কী বিদেশী কী স্বদেশী কেউ স্পষ্ট করে চিনতে পারেনি । তিনিই সেদিন বুঝেছিলেন এ যুগের যে আহবান সে সুমহং ঐক্যের আহবান । তিনি জ্ঞানের আলোকে প্রদীপ্ত আপন উদার হৃদয় বিস্তার ক’রে দেখিয়েছিলেন সেখানে হিন্দুমুসলমান খৃষ্টান কারো স্থানসঙ্কীর্ণতা নেই। র্তার সেই হৃদয় ভারতেরই হৃদয়, তিনি ভারতের সত্য পরিচয় আপনার মধ্যে প্রকাশ করেছেন । ভারতের সত্য পরিচয় সেই মামুষে, ষে মানুষের মধ্যে সকল মামুষের সম্মান আছে স্বীকৃতি আছে । সকল দেশেরই মধ্যে একটা বিরুদ্ধতার দ্বন্দ্ব দেখা যায়। এক ভাগে তার আপন শ্রেষ্ঠতাকে আপনি প্রতিবাদ, তার অন্ধতা, অহমিকা দ্বারাই তার আত্মলাঘব, এই দিকটা অভাবার্থক, এইদিকে তার ক্ষতির বিভাগ, তার কৃষ্ণপক্ষের অংশ । আর একদিকে তার আলোক, তার নিহিতার্থ, তার চিরসত্য, এই দিকটাই ভাবার্থক, প্রকাশাত্মক। এই দিকে তার পরিচয় যদি স্নান না হয়, নিঃশেষিত না হয়, তবেই সৰ্ব্বকালে সে গৌরবান্বিত । মুরোপের সকল দেশই একদিন ডাইনির অস্তিত্ব বিশ্বাস করত। শত শত স্ত্রীলোক সেখানে নিরপরাধে পুড়ে মরেছে। কিন্তু এই অন্ধতার দিকটাই আন্তরিকভাবে য়ুরোপের একান্ত ছিল না। তাই লোকগণনায় এই বিশ্বাসের প্রসার পরিমাপ ক’রে এর দ্বারা য়ুরোপকে চিনতে গেলে অবিচার হবে । একদিন য়ুরোপের ধৰ্ম্মমুঢ়বুদ্ধি জিয়োর্ডানো ব্রুনোকে পুড়িয়ে মেরেছিল, কিন্তু সেদিন চিতায় জলতে জলতে একলা জিওর্ডানে