পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর । Գ:Ի ক্রমাগত উপনিষদের একটি কথা মনে হয়েছে, "বৃক্ষ ইৰ স্তন্ধে দিবি তিষ্ঠত্যেক:” যিনি এক, তিনি এই আকাশে বৃক্ষের মতে স্তন্ধ হয়ে আছেন । এখন মনে হয় তার সেই নিঃসঙ্গতার অর্থ যেন কিছু কিছু বুঝতে পারি। এখন বুঝতে পারি যে তিনি বিরাট নিরাসক্ততা নিয়েই জন্মেছিলেন। তার পিতার বিপুল ঐশ্বৰ্য্যসম্ভার ছিল, বাহিরের দিক দিয়ে সেই ঐশ্বৰ্য্যের কত রকম প্রকাশ হোত তার ইয়ত্তা নেই। আহারে, বিহারে, বিলাসে, ব্যসনে কত ধুম, কত জনসমাগম ৷ পিতৃদেব সেই ভিড়ের মধ্যে থেকেও ভিড় থেকে দূরে থাকতেন । আপনার ব্যক্তিত্বের মর্য্যাদা নিয়ে আপনাতে নিবিষ্ট থাকা—এই ছিল। র্তার স্বভাব । অথচ কৰ্ম্মেও তাকে লিপ্ত থাকতে হয়েছে। আমার পিতামহের অধিকাংশ অর্থ যে ব্যাঙ্কে খাটত, সেইখানে তারই নির্দেশক্রমে সামান্ত পারিশ্রমিকে আমার পিতাকে কাজ করতে হোত । যাতে তিনি বিষয়কৰ্ম্মে নিপুণ হয়ে ওঠেন তার জন্ত পিতামহ যথেষ্ট আগ্রহ প্রকাশ করতেন। যদিও দায়িত্বজনক অনেক কাজ তিনি মুচারুরূপে নিৰ্ব্বাহ করতেন, তবু সমস্ত বিষয়-কৰ্ম্মের উপর তার ঔদাসীন্ত ও অনাসক্তি দেখে পিতামহ ক্ষুণ্ণ হতেন। তখন তার যৌবনকাল, বাইরের আড়ম্বর ও চাকচিক্যে মুগ্ধ হয়ে পড়া, হয়তো তার মতে অবস্থায় বিশেষ আশ্চৰ্য্যকর হোত না ; কিন্তু সমস্ত কৰ্ম্মের মধ্যে জড়িত থেকেও তিনি সকল কৰ্ম্মের উদ্ধে ছিলেন। সামাজিক দিক দিয়েও, আবিষ্ট হয়ে পড়ার মতো অমুকুল অবস্থা তখন তার প্রবল ছিল ; অনেক পদস্থ ও সম্রাস্ত অভিজাত সম্প্রদায়ের লোক তখন পিতামহের কাছে বিষয় বা অন্তবিধ ব্যাপার নিয়ে নিত্য উপস্থিত হতেন। উপরন্তু দর্পনারায়ণ ঠাকুরের বাড়ির এবং পাথুরেঘাটার রাজবাটীর আত্মীয়সমবায়