পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর Ե(: কুলকে নবজীবনে অভিষিক্ত করিয়া চলিল, বাধা মানিল না, বিশ্রাম করিল না, কিছুতেই তাহাকে লক্ষ্য হইতে বিক্ষিপ্ত করিয়া দিল না— অবশেষে আজ সেই একনিষ্ঠ অনন্তপরায়ণ জীবনস্রোত সংসারের দুই কুলকে আচ্ছন্ন করিয়া অতিক্রম করিয়া উঠিয়াছে—আজ সে তাহার সমস্ত চেষ্টা, সমস্ত চাঞ্চল্যকে পরমপরিণামের সন্মুখে প্রশান্ত করিয়া পরিপূর্ণ আত্মবিসর্জনের দিকে আপনাকে প্রসারিত করিয়াছে—অনন্ত জীবনসমুদ্রের সহিত সার্থক জীবনধারার এই সুগম্ভীর সন্মিলনস্তৃপ্ত অদ্য আমাদের ধ্যাননেত্রের সম্মুখে উদঘাটিত হইয়া আমাদিগকে ধন্য করুক। অমৃতপিপাসা ও অমৃতসন্ধানের পথে ঐশ্বৰ্য্য একটি প্রধান অন্তরায়। সামান্ত সোনার প্রাচীর উচ্চ হইয়া উঠিয়া আমাদের দৃষ্টি হইতে অনন্ত আকাশের অমৃত-আলোককে রুদ্ধ করিয়া দাড়াইতে পারে। ধনসম্পদের মধ্যেই দীনহৃদয় আপনার সার্থকতা উপলব্ধি করিতে থাকে—সে বলে, এই তো আমি কৃতাৰ্থ হইয়াছি, দশে আমার স্তব করিতেছে, দেশে আমার প্রতাপ বিকীর্ণ হইতেছে, বাহিরে আমার আড়ম্বর অভ্ৰভেদ করিতেছে, ঘরে আমার আরামশয়ন প্রতিদিন স্তরে স্তরে রাশীকৃত হইয়া উঠিতেছে, আমার আর কী চাই ! হায় রে দরিদ্র, নিখিল মানবের অন্তরাত্মা যখন ক্ৰন্দন করিয়া উঠিয়াছে—যাহাতে আমি অমর না হইব, তাহা লইয়া আমি কী করিব— "cयनांश् नांवृङl छ१ किभश्६ cठन कूर्वां★"--- সপ্তলোক যখন অন্তরীক্ষে উৰ্দ্ধকররাজি প্রসারিত করিয়া প্রার্থনা করিতেছে, আমাকে সত্য দাও, আলোক দাও, অমৃত দাও, “আসতো মা সদগময়, তমসে মা জ্যোতিৰ্গময়, মৃতোর্মামৃতং গময়”—তখন তুমি বলিতেছ আমার ধন আছে, আমার মান আছে, আমার আরাম আছে, আমি