পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెe চারিত্রপূজা সমাজে তিনি নব আশা, নব উৎসাহের অভু্যদয়ের মুখে পুনৰ্ব্বার সমস্ত ত্যাগ করিয়া একাকী দাড়াইলেন। তাহার কেবল এই প্রার্থনা রছিল, ”মাহং ব্রহ্ম নিরাকুৰ্য্যাং মা মা ব্ৰহ্ম নিরকরোং”—আমি ব্ৰহ্মকে ত্যাগ করিলাম না, ব্ৰহ্ম আমাকে ত্যাগ না করুন ! ধনসম্পদের স্বর্ণন্ত পরচিত ঘনান্ধকার ভেদ কবিয়া, নবযৌবনের অপরিতৃপ্ত প্রবৃত্তির পরিবেষ্টনের মধ্যে দিব্যজ্যোতি যাহার ললাটম্পর্শ করিয়াছিল, ঘনীভূত বিপদের ভ্ৰকুটকুটিল রুদ্রচ্ছায়ায় আসন্ন দারিদ্র্যের উষ্ঠত বজদণ্ডের সম্মুখেও ঈশ্বরের প্রসন্ন মুখচ্ছবি যাহার অনিমেষ অস্তদৃষ্টির সম্মুখে অচঞ্চল ছিল, দুর্দিনের সময়েও সমস্ত লোক ভয় অতিক্রম করিয়া যাহার কর্ণে ধৰ্ম্মের ‘মা ভৈঃ’ বাণী সুস্পষ্ট ধ্বনিত হইয়া উঠিয়াছিল, বলবৃদ্ধি-দলপুষ্টির মুখে যিনি বিশ্বাসের বলে সমস্ত সহায় হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া নিঃসঙ্কোচে পরম সহায়ের আশ্রয়গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, আদ্য র্তাহার পুণ্যচেষ্টাভূয়িষ্ঠ সুদীর্ঘ জীবনদিনের সায়াহ্নকাল সমাগত হইয়াছে। অদ্য তাহার ক্লান্তকণ্ঠের স্বর ক্ষীণ, কিন্তু তাহার সম্পূর্ণপ্রায় জীবনের নিঃশব্দবাণী সুস্পষ্টতর, অদ্য তাহার ইহজীবনের কৰ্ম্ম সমাপ্ত, কিন্তু র্তাহার জীবনব্যাপী কৰ্ম্মচেষ্টার মূলদেশ হইতে যে একাগ্ৰনিষ্ঠ উদ্ধলোকে উঠিয়াছে, তাহ আজ নিস্তব্ধভাবে প্রকাশমান। অদ্য তিনি র্তাহার এই বৃহৎ সংসারের বহিদ্বর্ণরে আসিয়া দাড়াইয়াছেন, কিন্তু সংসারের সমস্ত সুখদুঃখ-বিচ্ছেদমিলনের মধ্যে যে অচলা শান্তি জননীর আশীৰ্ব্বাদের দ্যায় চিরদিন তাহার অন্তরে ধ্রুব হইয়া ছিল, তাহ দিনান্তকালের রমণীয় স্বৰ্য্যাস্তচ্ছটার স্থায় অদ্য র্তাহাকে বেষ্টন করিয়া উদ্ভাসিত। কৰ্ম্মশালায় তিনি র্তাহার জীবনেশ্বরের আদেশপালন করিয়া অদ্য বিরামশালায় তিনি তাহার হৃদয়েশ্বরের সহিত নির্বাধমিলনের পথে যাত্রা করিবার জন্ত প্রস্তুত হইয়াছেন। এই পুণ্যক্ষণে আমরা তাহাকে প্রণাম করিবার জন্ত,