পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর >》 তাহার সার্থকজীবনের শাস্তিসৌন্দর্য্যমণ্ডিত শেষ রশ্মিচ্ছটা মস্তক পাতিয়া গ্রহণ করিবার জন্য, এখানে সমাগত হইয়াছি। বন্ধুগণ, যাহার জীবন আপনাদের জীবনশিখাকে ক্ষণে ক্ষণে উজ্জল করিয়াছে, র্যাহার বাণী অবসাদের সময় আপনাদিগকে বল ও বিষাদের সময় আপনাদিগকে সাত্বনা দিয়াছে, তাহার জন্মদিনকে উৎসবের দিন করিয়া আপনারা ভক্তিকে চরিতার্থ করিতে আসিয়াছেন, এইখানে আমি আমার পুত্রসম্বন্ধ লইয়৷ এই উৎসবদিনে যদি ক্ষণকালের জন্ত পিতার নিকট বিশেষভাবে উপস্থিত হই, তবে আমাকেমার্জন করিবেন। সন্নিকটবর্তী মহাত্মাকে সমগ্রভাবে, সম্পূর্ণভাবে দেখিবার অবসর আত্মীয়দের প্রায় ঘটে না । সংসারের সম্বন্ধ বিচিত্র সম্বন্ধ, বিচিত্র স্বার্থ, বিচিত্র মত, বিচিত্র প্রবৃত্তি—ইহার দ্বারা বিচারশক্তির বিশুদ্ধতা রক্ষা করা কঠিন হয়, ছোটো জিনিষ বড়ো হইয় উঠে, অনিত্যজিনিষ নিত্যজিনিষকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখে, সংসারের নানা ঘাতপ্রতিঘাতে প্রকৃত পরিচয় প্রত্যহ খণ্ডিত হইয়া যায়—এইজন্যই পিতৃদেবের এই জন্মদিনের উৎসব তাহার আত্মীয়দের পক্ষে একটি বিশেষ শুভ অবসর—ষে পরিমাণ দূরে দাড়াইলে মহৰকে আজোপান্ত অখণ্ড দেখিতে পাওয়া যায়, অন্তকার এই উৎসবের সুযোগে বাহিরের ভক্তমণ্ডলীর সহিত একাসনে বসিয়া আমরা সেইপরিমাণ দূরে আসিব, তাহাকে ক্ষুদ্র সংসারের সমস্ত তুচ্ছ সম্বন্ধজাল হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া দেখিব, আমাদের সঙ্কীর্ণ জীবনের প্রাত্যহিক ব্যবহারোৎক্ষিপ্ত সমস্ত ধূলিরাশিকে অপসারিত করিয়ার্তাহাকে বৃহৎ আকাশের মধ্যে, নিৰ্ম্মল শাস্তির মধ্যে, দেবপ্রসাদের অক্ষুণ্ণ আনন্দরশ্মির মধ্যে, তাহার যথার্থ মহিমায় তাহাকে তাহার জীবনের নিত্যপ্রতিষ্ঠার উপরে সমাসীন দেখিব। সংসারের আবর্তে উদভ্ৰাস্ত झ्हेग्न যত বিদ্রোহ, যত চপলতা, যত অন্যায় করিয়াছি, অদ্য তাহার জন্ত