পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఎy চারিত্রপূজা ধৰ্ম্ম বিষয়বুদ্ধির ফাস আলগা করিবে বলিয়া আসিয়াছিল, তাহা জগতে একটা নূতনতর বৈষয়িকতার সূক্ষ্মতর জাল স্বষ্টি করিয়া বসে, সে জাল কাটানো শক্ত । 弹 ধৰ্ম্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতারা নিজের নিজের সাধ্যানুসারে আমাদের জন্য, মাটির হৌক আর সোনার হৌক, এক একটা পাত্র গড়িয়া দিয়া যান। আমরা যদি মনে করি, সেই পাত্ৰটা গড়িয়া-দিয়া যাওয়াই তঁহাদের মাহায্যের সব চেয়ে বড়ো পরিচয়, তবে সেটা আমাদের ভুল হইবে। কারণ, পাত্রটি আমাদের কাছে যতই প্রিয় এবং যতই সুবিধাকর হউক, তাহা কখনই পৃথিবীর সকলেরই কাছে সমান প্রিয় এবং সমান সুবিধাকর হইতে পারে না । ভক্তির মোহে অন্ধ হইয়া, দলের গর্বে মত্ত হইয়া, এ কথা ভুলিলে চলিবে না। কথামালার গল্প সকলেই জানেন-শৃগাল থালায় ঝোল রাখিয়া সারসকে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিল, লম্বা ঠোঁটু লইয়া সারস তাহা খাইতে পারে নাই। তার পর সারস যখন সরুমুখ চোঙের মধ্যে ঝোল রাখিয়া শৃগালকে ফিরিয়া নিমন্ত্ৰণ করিল, তখন শৃগালকে ক্ষুধা লইয়াই ফিরিতে হইয়াছিল। সেইরূপ এমন সর্বজনীন ধৰ্ম্মসমাজ আমরা কল্পনা করিতে পারি না, যাহা তাহার মত ও অনুষ্ঠান লইয়া সকলেরই বুদ্ধি, রুচি ও প্রয়োজনকে পরিতৃপ্ত করিতে পারে। অতএব শাস্ত্রীয় ধৰ্ম্মমত ও আনুষ্ঠানিক ধৰ্ম্মসমাজ স্থাপনের দিক হইতে পৃথিবীর ধৰ্ম্মগুরুদিগকে দেখা তাহাদিগকে ছোটো করিয়া দেখা । তেমন করিয়া কেবল দলের লোকেরাই দেখিতে পারে এবং তা হাতে করিয়া কেবল দলাদলিকেই বাড়াইয়া তোলা হয়। র্তাহাদের মধ্যে নিশ্চয়ই এমন একটি দেখিবার আছে, যাহা লইয়া সকল দেশে সকল কালে সকল মানুষকেই আহবান করা যায়। যাহা প্ৰদীপপাত্র নহে, श्iछ् ख्ाCब्लां । ۔* সেটি কী ? না, যেটি তাহারা নিজেরা পাইয়াছেন। যাহা গড়িয়াছেন,