পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w চারিত্রিপূজা কুটীরপ্রাঙ্গণে শুভ্ৰ উত্তরীয় পরিয়া । সে ছিল ব্ৰহ্মপরায়ণ তপস্বীর ন্তিমিত ধ্যানাসনে, সে ছিল ধৰ্ম্মপরায়ণ আৰ্য্যগৃহস্থের কৰ্ম্মমুখরিত सद्धgशांध, 2 । দল বঁাধিয়া পূজা, কমিটি করিয়া শোক বা চাদ করিয়া কৃতজ্ঞতাপ্ৰকাশ, এ আমাদের জাতির প্রকৃতিগত নহে, এ কথা আমাদিগকে স্বীকার করিতেই হইবে। এ গৌরবের অধিকার আমাদের নাই-কিন্তু তাই বলিয়া আমরা লজ্জা পাইতে প্ৰস্তুত নাহি । সংসারের সর্বত্রই হরণ-পূরণের নিয়ম আছে। আমাদের বঁা-দিকে কমতি থাকিলেও ডান-দিকে বাড়তি থাকিতে পারে। যে ওড়ে, তাহার ডানা বড়ো, কিন্তু পা ছোটো ; যে দৌড়ায়, তাহার পা বড়ো, क्रुि छान नांदे । আমাদের দেশে আমরা বলিয়া থাকি, মহাত্মাদের নাম প্ৰাতঃস্মরণীয়। তাহা কৃতজ্ঞতার ঋণ শুধিবার জন্য নহে-ভক্তিভাজনকে দিবসারম্ভে যে ব্যক্তি ভক্তিভাবে স্মরণ করে, তাহার মঙ্গল হয়-মহাপুরুষদের তাহাতে উৎসাহবৃদ্ধি হয় না, যে ভক্তি করে, সে ভালো হয়। ভক্তি-করা প্ৰত্যেকের প্রাত্যহিক কৰ্ত্তব্য । কিন্তু তবে তো একটা লম্বা নামের মালা গাঁথিয়া প্ৰত্যহ আওড়াইতে হয় এবং সে মালা ক্রমশই বাড়িয়া চলে। তাহা হয় না । যথার্থ ভক্তিই যেখানে উদ্দেশ্য, সেখানে মালা বেশি বাড়িতে পারে না । ভক্তি যদি নিজীব না হয়, তবে সে জীবনের ধৰ্ম্ম অনুসারে গ্ৰহণ-বর্জন করিতে থাকে, কেবলি সঞ্চয় করিতে থাকে না । আমার প্রকৃতি যে মহাত্মাদিগকে প্ৰত্যহস্মরণযোগ্য বলিয়া ভক্তি করে, তঁহাদের নাম যদি উচ্চারণ করি, তবে কতোটুকু সময় লয়! প্ৰত্যেক পাঠক যদি নিজের মনে চিন্তা করিয়া দেখেন, তবে কয়টি নাম । কুঁহাদের মুখে আসে ? ভক্তি যাহাদিগকে হৃদয়ে সজীব কল্পিয়া না