পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9:8 চারিত্রিপূজা নিরীক্ষণ করিয়াও শেষ করিতে পারা যায় না । উন্নত ললাটে তাহার বুদ্ধির প্রসার, সুদূরদর্শী স্নেহবষী আয়ত নেত্র, সরল সুগঠিত নাসিকা, দয়াপূর্ণ ওষ্ঠাধর, দৃঢ়তাপূর্ণ চিবুক, এবং সমস্ত মুখের একটি মহিমময় সুসংযত সৌন্দৰ্য্য দর্শকের হৃদয়কে বহু দূরে এবং বহু উৰ্দ্ধে আকর্ষণ করিয়া লইয়া যায়—এবং ইহাও বুঝিতে পারি, ভক্তিবৃত্তির চরিতার্থতাসাধনের জন্য কেন বিদ্যাসাগরকে এই মাতৃদেবী ব্যতীত কোনো পৌরাণিক দেবী-প্ৰতিমার মন্দিরে প্রবেশ করিতে হয় নাই । ভগবতী দেবীর অকুষ্ঠিত দয়া তাহার গ্রাম, পল্লী, প্ৰতিবেশীকে নিয়ত অভিষিক্ত করিয়া-রাখিত। রোগাৰ্ত্তের সেবা, ক্ষুধাৰ্ত্তকে অন্নদান এবং শোকাতুরের দুঃখে শোকপ্ৰকাশ করা তাহার নিত্যনিয়মিত কাৰ্য্য ছিল। অগ্নিদাহে বীরসিংহগ্রামের বাসস্থান ভস্মীভূত হইয়া গেলে বিদ্যাসাগর যখন তাহার জননীদেবীকে কলিকাতায় লইয়া যাইবার চেষ্টা করেন, তিনি বলিলেন, “যে সকল দরিদ্রলোকের সন্তানগণ এখানে ভোজন করিয়া বীরসিংহবিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে, আমি এস্থান পরিত্যাগ করিয়া স্থানান্তরে প্রস্থান করিলে তাহারা কি খাইয়া স্কুলে অধ্যয়ন করিবে ?”* "তু দয়াবৃত্তি আরো অনেক রমণীর মধ্যে দেখা যায়, কিন্তু ভগবতী দেবীর দয়ার মধ্যে একটি অসাধারণত্ব ছিল, তাহা কোনোপ্রকার সঙ্কীর্ণ সংস্কারের দ্বারা বদ্ধ ছিল না । সাধারণলোকের দয়া দিয়া শেলাই-শলাকার মত কেবল বিশেষরূপ সংঘর্ষেই জলিয়া উঠে এবং তাহা অভ্যাস ও লোকচারের ক্ষুদ্র বাক্সের মধ্যেই বদ্ধ। কিন্তু ভগবতী দেবীর হৃদয়, সুৰ্য্যের ন্যায় আপনার বুদ্ধি-উজ্জ্বল দয়ারশ্মি স্বভাবতই চতুর্দিকে বিকীর্ণ করিয়া দিত, শাস্ত্ৰ বা প্রথাসংঘর্ষের অপেক্ষা করিত না । বিদ্যাসাগরের তৃতীয়সহোদর শদ্ভুচন্দ্ৰ বিদ্যারত্ব মহাশয় তাহার ভ্রাতার জীবনচরিতে লিখিয়াছেন যে, SSS BBBD DDuuD DDDD BB DDDDDDDDBBBDS DSgSS S