পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগর চরিত ৪৩৮ পড়িালি, তাহাতে বিধবার কি কোনো উপায় নাই ? * মাতার পুত্ৰ উপায়-অন্বেষণে প্ৰবৃত্ত হইলেন। স্ত্রীজাতির প্রতি বিদ্যাসাগরের বিশেষ স্নেহ। অথচ ভক্তি ছিল ইহাও তাহার সুমহৎ-পৌরুষের একটি প্রধান লক্ষণ। সাধারণত আমরা স্ত্রীজাতির প্রতি ঈর্ষবিশিষ্ট ; অবলা স্ত্রীলোকের সুখ-স্বাস্থ্য-স্বচ্ছন্দত আমাদের নিকট পরম পরিহাসের বিষয়, প্রহসনের উপকরণ। আমাদের ক্ষুদ্রতা ও কাপুরুষতার অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে ইহাও একটি। ৷ বিদ্যাসাগর শৈশবে জগদ্দুর্লভবাবুর বাসায় আশ্রয় পাইয়াছিলেন। জগদূর্লাভের কনিষ্ঠ ভগিনী রাইমণির সম্বন্ধে তিনি স্বরচিত জীবনবৃত্তান্তে যাহা লিখিয়াছেন, তাহা এস্থলে উদ্ধৃত করা যাইতে পারে। “রাইমণির অদ্ভুত স্নেহ ও যত্ন আমি কস্মিনকালেও বিস্মৃত হইতে পারিব না। র্তাহার একমাত্র পুত্ৰ গোপালচন্দ্ৰ ঘোষ আমার প্রায় সমবয়স্ক ছিলেন । পুত্রের উপর জননীর যেরূপ স্নেহ ও যত্ন থাকা উচিত ও আবশ্যক, গোপালচন্দ্রের উপর রাইমণির স্নেহ ও যত্ন তদপেক্ষা অধিকতর ছিল, তাহার সংশয় নাই। কিন্তু আমার আন্তরিক দৃঢ়বিশ্বাস এই যে, স্নেহ ও যত্নবিষয়ে আমায় ও গোপালে রাইমণির অণুমাত্ৰ বিভিন্নভাব ছিল না। ফল কথা এই, স্নেহ, দয়া, সৌজন্য, অমায়িকতা, সদ্বিবেচনা প্ৰভৃতি সদগুণ বিষয়ে, রাইমণির সমকক্ষ স্ত্রীলোক এ পৰ্য্যন্ত আমার নয়নগোচর হয় নাই । এই দয়াময়ীর সৌম্যমূৰ্ত্তি আমার হৃদয়মন্দিরে দেবীমূৰ্ত্তির ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হইয়া বিরাজমান রহিয়াছে। প্রসঙ্গক্রমে তাহার কথা উত্থাপিত হইলে তদীয় অপ্ৰতিমগুণের কীৰ্ত্তন করিতে করিতে অশ্রুপাত না করিয়া থাকিতে পারি না । আমি স্ত্রীজাতির পক্ষপাতী বলিয়া অনেকে নির্দেশ করিয়া থাকেন। আমার বোধ হয়, সে নির্দেশ অসঙ্গত নহে। যে ব্যক্তি রাইমণির স্নেহ, দয়া, সৌজন্য প্রভৃতি প্ৰত্যক্ষ করিয়াছে এবং ঐ সমস্ত SAA BDBD D Tut DD TBD DDDDtBBDS DtD Bi StS