পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগর চরিত ܠܟܠ তথাপি সকলেই জানেন, কালাইলের ন্যায় লেখক তাহদের দেশের সাধারণ জনসমাজের অন্ধ মূঢ়তাকে কিরূপ সুতীব্র ভৎসনা করিয়াছেন। কালাইল যাহাকে hero অর্থাৎ বীর বলেন, তিনি কে ? The hero is he who lives in the inward sphere of things, in the True, Divine and Eternal, which exists always, unseen to most, under the Temporary, Trivial : his being is in that ; he declares that abroad; by act or speech as it may be, in declaring himself abroad. অর্থাৎ তিনিই বীর, যিনি বিষয়পুঞ্জের অন্তরতর রাজ্যে সত্য, , এবং দিব্য এবং অনন্তকে আশ্রয় করিয়া আছেন ;-যে সত্য, দিব্য ও অনন্ত পদার্থ অধিকাংশের অগোচরে চারিদিকের তুচ্ছ এবং ক্ষণিক ব্যাপারের অভ্যন্তরে নিত্যকাল বিরাজ করিতেছেন ; সেই অন্তররাজ্যেই তাহার অস্তিত্ব; কৰ্ম্মদ্বারা অথবা বাক্যদ্বারা নিজেকে বাহিরে প্রকাশ করিয়া তিনি সেই অন্তররাজ্যকেই বাহিরে বিস্তার করিতেছেন। কালাইলের মতে ইহার কাপড় ঝুলাইবার আলনা বা হজম করিবার যন্ত্র নহেন, ইহারা সজীব মনুষ্য, অর্থাৎ সেই একই কথা—“স জীবতি মনাে যস্য মননেন হি জীবতি”। অথবা অন্য কবির ভাষায় ইহারা গতানুগতিকমাত্র নহেন, ইহারা পারমার্থিক। আমরা স্বার্থকে যেমন সহজে এবং সুতীব্রভাবে অনুভব করি, মননজীবিগণ পরমার্থকে ঠিক তেমনি সহজে অনুভব করেন এবং তাহার দ্বারা তেমনি অনায়াসে চালিত হন। তাহদের দ্বিতীয় জীবন, তাহদের অন্তরতর প্রাণ যে খাদ্য চায়, যে বেদন বোধ করে, যে আনন্দামৃতে সাংসারিক ক্ষতি এবং भूड्रशूद्र বিরুদ্ধেও অমর হইয়া উঠে, আমাদের নিকট তাহার অস্তিত্বই নাই । পৃথিবীর এমন একদিন ছিল, যখন সে কেবল আপনার দ্রবীভূত