পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झांभ(भाट्न ब्रांश Ved গভীরতা ও সহৃদয়ত তেঁাহার বাক্যালাপের মধ্যে প্ৰতিদিন অজস্র বিকীর্ণ হইয়া গেছে, অন্য সে আর উদ্ধার করিবার উপায় নাই। বসওয়েল না থাকিলে জনসনের মনুষ্যত্ব লোকসমাজে স্থায়ী আদর্শ দান করিতে পারিত না । সৌভাগ্যক্রমে বিদ্যাসাগরের মনুধুত্ব তাহার কাজের মধ্যে আপনার ছাপ রাখিয়া যাইবে, কিন্তু তাহার অসামান্য মনস্বিতা, যাহা তিনি অধিকাংশসময়ে মুখের কথায় ছাড়াইয়া দিয়াছেন, তাহা কেবল অপরিস্ফুট জনশ্রুতির মধ্যে অসম্পূর্ণ আকারে বিরাজ করিবে । [ ܐܵ) ܘ 9\ ܬ রামমোহন রায় মহাপুরুষেরা সমস্ত মানবজাতির গৌরবের ও আদর্শের স্থল বটেন, কিন্তু তাহারা জাতিবিশেষের বিশেষ গৌরবের স্থল, তাহার। আর সন্দেহ নাই । গৌরবের স্থল বলিলে যে কেবলমাত্র সামান্য অহঙ্কারের স্থল বুঝায়, তাহা নহে, গৌরবের স্থল বলিলে শিক্ষার স্থল, বললাভের স্থল বুঝায়। মহাপুরুষদিগের মহৎকাৰ্য্যসকল দেখিয়া কেবলমাত্ৰ সন্ত্র মমিশ্রিত বিস্ময়ের উদ্ৰেক হইলেই যথেষ্ট ফললাভ হয় না-ৰ্তাহাদিগকে যতই ‘আমার’ মনে করিয়া তাহাদের প্রতি যতই প্রেমের উদ্রেক হয়, ততই তঁহাদের কথা, তাহদের কাৰ্য্য, তাহাদের চরিত্র আমাদের নিকট জীবন্ত হইয়া উঠে। র্যাহাদিগকে লইয়া আমরা গৌরব করি, তাহাদিগকে শুদ্ধমাত্র যে আমরা ভক্তি করি, তাহা নহে, তাহাদিগকে “আমার’ বলিয়া মনে করি। এইজন্য তঁহাদের মহত্ত্বের আলোক বিশেষরূপে আমাদেরই উপরে আসিয়া পড়ে, বিশেষরূপে আমাদেরই মুখ উজ্জল করে। শিশু যেমন সহস্ৰ বলবান ব্যক্তিকে ফেলিয়া বিপদের সময় পিতার কোলে