পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૭ চারিত্রিপূজা মারিতে যায়, তাহার জীবনের আশঙ্কার অপেক্ষা অনিৰ্দেশ্য অমঙ্গলের আশঙ্কা বলবত্তর হইয়া উঠে। তেমনি রামমোহন রায়ের সময়ে হিন্দুসমাজের ভগ্নাভিত্তির সহস্র ছিদ্রে সহস্ৰ বাস্তু-অমঙ্গল উত্তরোত্তর পরিবদ্ধমান বংশপরম্পর লইয়া প্ৰাচীনতা ও জড়তার প্রভাবে অতিশয় স্থূলকায় হইয়া উঠিতেছিল । রামমোহন রায় সমাজকে এই সহস্ৰ নাগপাশবন্ধন হইতে মুক্ত করিতে নিৰ্ভয়ে অগ্রসর হইলেন। কিন্তু এই নিদারুণ বন্ধন অনুরাগবন্ধনের ন্যায় সমাজকে জড়াইয়াছিল, এইজন্য সমস্ত বঙ্গসমাজ আৰ্ত্তনাদ করিয়া রামমোহন রায়ের বিরুদ্ধে উত্থান করিল। আজি আমাদের বালকেরাও সেইসকল মৃতসর্পের উপরে হাস্যমুখে পদাঘাত করে, আমরা তাহাদিগকে নিবিবষ ঢোড়াসাপ বলিয়া উপহাস করি।-ইহাদের প্রবলপ্ৰতাপ, ইহাদের চক্ষের মোহ-আকর্ষণ, ইহাদের সুদীর্ঘ লাঙ্গুলের ভীষণ আলিঙ্গনের আশঙ্কা আমরা বিস্মৃত হইয়াছি। একবার ভাঙচুর করিতে আরম্ভ করিলে একটা নেশা চড়িয়া যায়। স্বজনের যেমন আনন্দ আছে, প্ৰলয়ের তেমনি একপ্রকার ভীষণ আনন্দ আছে। র্যাহার রাজনারায়ণবাবুর “একাল ও সেকাল” পাঠ করিয়াছেন, তাহারা জানেন, নূতন ইংরাজিশিক্ষা লাভ করিয়া বাঙালীছাত্রেরা যখন হিন্দুকালেজ হইতে বাহির হইলেন, তখন তঁহাদের DBDBB BDBDB DBDDDSS S DDB DBDB BB DBD SDBBD BDBD হিন্দুসমাজের হৃদয় হইতে রক্তপাত করিয়া তাহাই লইয়া প্ৰকাশ্যপথে আবীর খেলাইতেন। কঠোর অট্টহাস্য ও নিষ্ঠুর উৎসবের কোলাহল তুলিয়া তখনকার শ্মশানদৃশ্য র্তাহারা আরো ভীষণতর করিয়া তুলিয়াছিলেন। তাহাদের নিকট হিন্দুসমাজের কিছুই ভালো, কিছুই পবিত্র ছিল না । হিন্দুসমাজের যে সকল কঙ্কাল ইতস্তত বিক্ষিপ্ত ছিল, তাহদের ভালরূপ সৎকার করিয়া শেষ ভস্মমুষ্টি গঙ্গার জলে নিক্ষেপ করিয়া বিষন্ন মনে যে গৃহে ফিরিয়া আসিবেন,প্ৰাচীন হিন্দুসমাজের স্মৃতির প্রতি তাহদের তত