পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

եՀ চারিত্রপূজা এই তো আমি কৃতাৰ্থ হইয়াছি, দশে আমার স্তব করিতেছে, দেশে আমার প্রতাপ বিকীর্ণ হইতেছে, বাহিরে আমার আড়ম্বর অভ্ৰভেদ, করিতেছে, ঘরে আমার আরামর্শয়ন প্ৰতিদিন স্তরে স্তরে রাশীকৃত হইয়া, উঠিতেছে, আমার আর কী চাই ! হায় রে দরিদ্র, নিখিল মানবের আন্তরাত্মা যখন ক্ৰন্দন করিয়া উঠিয়াছে-যাহাতে আমি অমর না হইব, ऊांट्र व्लक्षेश उम्रांभि दौ कब्रित्र ‘cसनांश् नाभूऊ ठां९ किभश्९ cडन कूर्षा”- সপ্তলোক যখন অন্তরীক্ষে উৰ্দ্ধকররাজি প্রসারিত করিয়া প্রার্থনা করিতেছে, আমাকে সত্য দাও, আলোক দাও, অমৃত দাও, “আসতো মা সদগময়, তমসো মা জ্যোতিৰ্গময়, মৃত্যোৰ্মামৃতং গময়”—তখন তুমি বলিতেছ। আমার ধন আছে, আমার মান আছে, আমার আরাম আছে, আমি প্ৰভু, আমি অধিপতি, আমার আর কী চাই!! ঐশ্বৰ্য্যের ইহাই বিড়ম্বন -দীনাত্মার কাছে ঐশ্বৰ্য্যই চরমসার্থকতার রূপ ধারণ করে। অদ্যকার উৎসবে আমরা যাহার মাহাত্ম্য স্মরণ করিবার জন্য সমবেত হইয়াছিএকদা প্ৰথমযৌবনেই তঁহার অধ্যাত্মদৃষ্টি এই কঠিন। ঐশ্বৰ্য্যের দুর্লঙ্ঘ্য প্রাচীর অতিক্ৰম করিয়া অনন্তের দিকে উল্মীলিত হইয়াছিল—যখন তিনি | ধনমানের দ্বারা নীরন্ধ ভাবে আবৃত-আচ্ছন্ন ছিলেন, তখনি ধনসম্পদের স্কুলতম আবরণ ভেদ করিয়া, স্তাবকগণের বন্দনাগানকে অধ:কৃত করিয়া, আরাম-আমোদ-আড়ম্বরের ঘন যবনিকা বিচ্ছিন্ন করিয়া, এই অমৃতবাণী তাহার কৰ্ণে কেমন করিয়া প্ৰবেশলাভ করিল যে,“ঈশা বাস্তমিদং সৰ্ব্বং”- যাহা-কিছু সমস্তকেই ঈশ্বরের দ্বারা আচ্ছন্ন দেখিবে, ধনের দ্বারা নহে, স্বার্থের দ্বারা নহে, আত্মাভিমানের দ্বারা নহে-যিনি “ঈশানং ভূতভাব্যস্ত” —যিনি আমাদের অনন্তকালের ঈশ্বর, আমাদের ভূতভবিষ্যতের প্রভুতঁহাকে এই ধ্বনিসস্তান কেমন করিয়া মুহুর্তের মধ্যে ঐশ্বৰ্য্যপ্ৰভাবের উৰ্দ্ধে, সমস্ত প্ৰভুত্বের উচ্চে আপনার একমাত্ৰ প্ৰভু বলিয়া প্ৰত্যক্ষ করিতে ।