পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষির জন্মোৎসব اس পারিলেন-সংসারের মধ্যে র্তাহার নিজের প্রভুত্ব, সমাজের মধ্যে তঁহায় ধনমৰ্য্যাদার সম্মান-ভঁাহাকে অন্ধ করিয়া রাখিতে পারিল না । আবার যে দিন এই প্ৰভূত ঐশ্বৰ্য্য অকস্মাৎ এক দুদিনের বজ্ৰাঘাতে বিপুল আয়োজন-আড়ম্বর लश्। ऊँशबू চতুর্দিকে সশব্দে ভাঙিয়া পড়িতে লাগিল—ঋণ যখন মুহুর্তের মধ্যেই বৃহদাকার ধারণ করিয়া তাহার গৃহদ্বার, তাহার সুখসমৃদ্ধি, তাহার অশািনবসন, সমস্তই গ্ৰাস করিবার উপক্ৰম করিল-তখনো পদ্ম যেমন আপন মৃণালবৃন্ত দীর্ঘতর করিয়া জলপ্লাবনের উৰ্দ্ধে আপনাকে সুৰ্য্যকিরণের দিকে নিৰ্ম্মল সৌন্দর্ঘ্যে উন্মেষিত করিয়া রাখে, তেমনি করিয়া তিনি সমস্ত বিপদবিন্যার উৰ্দ্ধে আপনার অমানহাদয়কে ধ্রুবজ্যোতির দিকে উদঘাটিত করিয়া রাখিলেন। সম্পদ যাহাকে অমৃতলাভ হইতে তিরস্কৃত করিতে পারে নাই, বিপদও তঁহাকে অমৃতসঞ্চয় হইতে বঞ্চিত করিতে পারিল না। সেই দুঃসময়কেই তিনি আত্মজ্যোতির দ্বারা সুসময় করিয়া তুলিয়াছিলেন-যখন তাহার ধনসম্পদ ধূলিশায়ী, তখনই তিনি তাহার দৈন্যের উৰ্দ্ধে দণ্ডায়মান হইয়া পরমাত্মসম্পদবিতরণের উপলক্ষ্যে সমস্ত ভারতবর্ষকে মুহুমুহু আহবান করিতেছিলেন। সম্পদের দিনে তিনি ভুবনেশ্বরের দ্বারে রিক্তহস্তে ভিক্ষু হইয়া দাড়াইয়াছিলেন, বিপদের দিনে তিনি আত্মৈশ্বৰ্য্যের গৌরবে ব্ৰহ্মসত্ৰ খুলিয়া বিশ্বপতির প্রসাদ সুধাবণ্টনের ভারগ্রহণ করিয়াছিলেন । ঐশ্বৰ্য্যের সুখশয্যা হইতে তুলিয়া লইয়া ধৰ্ম্ম ইহাকে তাহার পথের মধ্যে দাড় করাইয়া দিল—“ক্ষুরস্য ধারা নিশিতা দুরত্যয়া দুৰ্গং পথ্যস্তৎ কবয়ো বদন্তি”-কবির বলেন, সেই পথ ক্ষুরধারানিশিত অতি দুৰ্গম পথ । BBBBBDBBD BBDBDDB BBS DBBBB SDDDS DD BDDDD DDBDS DDS ভাবেও পালন করিয়া যাওয়া চলে এবং তাহ পালন করিয়া লোকের নিকট সহজেই যশোলাভ করিতে পারা যায়। ধৰ্ম্মের সেই আরাম, সেই