পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাপুরুষ ఏd কত প্ৰবল প্ৰতাপ অস্তমিত হইতেছে, কত লোকবিশ্রুত খ্যাতি বিস্মৃতিমগ্ন হইতেছে, কত কুবেরের ভাণ্ডার ভগ্নস্তুপের বিভীষিকা রাখিয়া অন্তহিত হইতেছে-কিন্তু হে আনন্দময়, এই সমস্ত পরিবর্তনপরম্পরার মধ্যে “মধু বাতা ঋতায়তে” বায়ু মধুবহন করিতেছে, “মধু ক্ষরন্তি সিন্ধবঃ” সমুদ্রসকল মধুক্ষরণ করিতেছে-তোমার অনন্ত মাধুৰ্য্যের কোনো ক্ষয় নাই--তোমার সেই বিশ্বব্যাপিনী মাধুরী সমস্ত শোকতাপবিক্ষোভের কুহেলিকা ভেদ করিয়া অদ্য আমাদের চিত্তকে অধিকার করুক ! মাধবীনঃ সন্তোষৰীঃ, মধু নক্তম উতোষস, মধুমৎ পাখিবং রজঃ, মধু দৌরস্তু নঃ পিতা, মধুমান্নো বনস্পতিঃ, মধুমান অস্তু সুৰ্য্যাঃ, মাধ্বীর্গাবো ভবস্তু নঃ। ওষধি আমাদের পক্ষে মাধবী হউক, রাত্রি এবং উষা আমাদের পক্ষে, মধু হউক, পৃথিবীর ধূলি আমাদের পক্ষে মধুমান হউক, এই যে আকাশ পিতার ন্যায় সমস্ত জগৎকে ধারণ করিয়া আছে, ইহা আমাদের পক্ষে, মধু হউক, সূৰ্য্য মধুমান হউক এবং গাভীরা আমাদের জন্য মাধবী হউক!" >\○〉 > | মহাপুরুষ * জগতে যে সকল মহাপুরুষ ধৰ্ম্মসমাজ স্থাপন করিয়া গিয়াছেন, তাহারা যাহা দিতে চাহিয়াছেন, তাহা আমরা নিতে পারি নাই, এ কথা স্বীকার করিতে হইবে। শুধু পারি নাই যে, তাহা নয়, আমরা এক লইতে श्झ তো আর লইয়া বসিয়াছি। ধৰ্ম্মের আসনে সাম্প্রদায়িকতাকে বরণ করিয়া হয় তো নিজেকে সার্থক জ্ঞান করিয়া নিশ্চিন্ত হইয়া আছি। তাহার একটা কারণ, আমাদের গ্রহণ করিবার শক্তি সকলের এক • মহাবি দেবেন্দ্রনাথের শ্ৰাদ্ধাসভায় পঠিত। ।