পাতা:চার অধ্যায় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হাত দিয়েই পৌঁছেছে যথাস্থানে। আমার উপবাস ভেঙেছি সেই টাকাতেই। এতদিন পরে যথার্থ দাগি হয়েছি চোরের কলঙ্কে, চোরাই মাল ছুঁয়েছি, ভোগ করেছি। চোর অতীন্দ্রের নাম বটু ফাঁস করে দিয়েছে। পাছে প্রমাণাভাবে শাস্তি না পাই বা অল্প শাস্তি পাই সেইজন্য পুলিস-সুপারিণ্টেণ্ডেণ্টের মারফত সে-মকদ্দমা ইংরেজ মাজিস্ট্রেটের আদালতে দায়ের না হয়ে যাতে বাঙালি জয়ন্ত হাজরার এজলাসে ওঠে কমিশনরের কাছ থেকে সেই হুকুম আনাবে বলে মন্ত্রণ করে রেখেছে। সে নিশ্চিত জানে, কাল ধরা পড়বই। ইতিমধ্যে ভয় কোরো আমাকে, আমি নিজে ভয় করি আমার মৃত আত্মার কালো ভূতটাকে। আজ তোমার ঘরে কেউ নেই।”

 “কেন, তুমি আছ।”

 “আমার হাত থেকে বাঁচাবে কে।”

 “নেই বা বাঁচালে।”

 “তোমারই আপন মণ্ডলীতে একদিন যারা ছিল এলাদির সব দেশভাই―ভাইফোঁটা দিয়েছ যাদের কপালে প্রতিবৎসর―তাদেরই মধ্যে কথা উঠেছে যে তোমার বেঁচে থাকা উচিত নয়।”

 “তাদের চেয়ে বেশি অপরাধ আমি কী করেছি।”

১২৯