পাতা:চার অধ্যায় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ধরা দিয়েছি নিশ্চিত আশারই টানে, অনিশ্চিতের কুহকে নয়। তুমি এটাকে দেখছ জুয়ােখেলার দিক থেকে, আমরা দেখছি ব্যবসার সাদা চোখে। অবশেষে খতেনের খাতায় আগুন লাগিয়ে আমাদের সঙ্গে ঠাট্টা কোরাে না, ভায়া। ওর প্রত্যেক সিকি পয়সায় আছে আমাদের বুকের রক্ত।”

 “আমার মনে কোনাে অন্ধ বিশ্বাস নেই কানাই। হারজিতের কথা ভাবা একেবারে ছেড়ে দিয়েছি। প্রকাণ্ড কর্মের ক্ষেত্রে আমি কর্তা, এইখানেই আমাকে মানায় বলেই আমি আছি,—এখানে হারও বড় জিতও বড়াে। ওরা চারদিকের দরজা বন্ধ করে আমাকে ছােটো করতে চেয়েছিল, মরতে মরতে প্রমাণ করতে চাই আমি বড়াে। আমার ডাক শুনে কত মানুষের মতাে মানুষ মৃত্যুকে অবজ্ঞা করে চারিদিকে এসে জুটল; সে তাে তুমি দেখতে পাচ্ছ কানাই। কেন। আমি ডাকতে পারি বলেই। সে কথাটা ভালাে করে জেনে এবং জানিয়ে যাব, তার পরে যা হয় হক। তােমাকে তাে বাইরে থেকে একদিন দেখতে ছিল সামান্য কিন্তু তােমার অসামান্যকে আমি প্রকাশিত করেছি। রসিয়ে তুললুম তােমাদের, মানুষ নিয়ে এই আমার রসায়নের সাধনা। আর বেশি কী চাই। ঐতিহাসিক মহাকাব্যের সমাপ্তি

৪০