পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতিভার নিকট অভিভূত। কণিকা কথা কল্পনা ক্ষণিকা— বলিতে গেলে চারি মাসের মধ্যে চারিখানা— পারিয়া উঠিব কেন ? প্রকৃতপক্ষেই পারি নাই। “কণিকা’ ছাড়িতে না ছাড়িতে “কথা” আসিল,— “কথা” দিয়া তুমি আমার হাত হইতে কণিকা কাড়িয়া লইলে— কণিকার ভোগ ত অামাকে পূর্ণ করিতে দিলে না। এমনি করিয়া কল্পনা দিয়া কথা কাড়িয়া লইয়াছিলে— আমার ভোগে আবার বাধা দিয়াছিলে । এবার ক্ষণিকায় চমকিত করিয়াছ । আবার ভোগে বিবাদী হইয়াছ । আমি ক্ষুদ্ৰ— সুতরাং আমার গতি বড় ধীর— আমি তোমার সঙ্গে পারিয়া উঠিতেছি না । পিছাইয়া পড়িতেছি— কিন্তু তোমার গতি দেখিয়া চমৎকৃত হইতেছি— ও গতি যথার্থই বিদ্যুতের গতি -- যেমন দ্রুত তেমনি উজ্জল, তেমনি সুন্দর। ও গতি এখানকার নয়, উদ্ধদেশের, মহাকাশের । রবীন্দ্রনাথ তোমার পরিমাণ করিতে পারি, যথার্থ ই এমন শক্তি আমার নাই । যে চারিখানির নাম করিলাম সকলগুলিই মিষ্ট হৃদয়স্পশী সুগভীর সুললিত, ( অনেক স্থলে ) সূক্ষ্ম সুতীক্ষ্ণ । কিন্তু ক্ষণিকায় বঙ্গের পল্লীজীবনের,পল্লী প্রকৃতির যে অনিৰ্ব্বচনীয় সৌরভ পাইলাম তাহাতে আমি— পল্লীপ্রিয় পাড়াগেয়ে— মুগ্ধ হইয়াছি। এ সৌরভ তোমার আর কোন কাব্যে পাইয়াছি বলিয়া মনে হয় না । বোধহয় এ সৌরভ শিলাইদহজনিত । প্রকৃতির প্রাণের সৌরভ পল্লীতেই পাওয়া যায়। কোনটার কথা বলিব ? অনেকগুলাতে ঐ সৌরভ পাইয়াছি । কিন্তু, কি জানি কেন, 2 ૨૨