পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ এখানে শৈলেশের আসবার কথা আছে। বিনোদিনী সম্বন্ধে একটা সুবিধা এই যে অন্ততঃ মাস তিনেকের মত লেখা ংশোধন করে ঠিক করে লিখে রেখেছি— সুতরাং কতকটা রয়ে বসে ওটা সমাধা করতে পারব। কিন্তু তবু খণ্ড খণ্ড করে এরকম গল্প বেরলে জিনিষটা অসমান হয়ে পড়ে। সব জায়গা ত সমান সরস ও কৌতুকাবহ হতেই পারে না – সুতরাং মাঝে মাঝে বিরুদ্ধ সমালোচনা শুনে হতাশ হতোদ্যম হতে হবেই। এ রকম বই সবটা একসঙ্গে না পড়লে এর উত্তরোত্তর বিকাশ এবং ঘনায়মান পরিণাম পাঠকের মনে দৃঢ় করে বসে না। এ গল্পে ঘটনাবাহুল্য একেবারেই নেই, সেই জন্যে এটা ক্রমশঃ প্রকাশের যোগ্য নয়— কিন্তু মাসিক পত্রিকার করাল কবল থেকে একে যে বাচাতে পারব এমন আশা করিনে ! সেকালের দৈত্যকে যেমন পালা-ক্রমে এক একটি নর-খাদ্য দিতে হত— এ কালে মাসিক পত্রকেও সেই রকম এক একটি সাধের রচনা পৰ্য্যায়ক্রমে দিয়ে শোক করতে হয় । ভারতীর জন্তে আজকালের মধ্যেই একটা লেখা মুরু করতে হবে— আজ খুব শক্ত তাগিদ এবং প্রলোভন এসেছে। গুড় পেয়েছ ? তোমার র › ግ ዓ