পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাই বিনোদিনীকে লইয়াই ত পড়িয়াছি। তাহার একটা সদগতি না করিতে পারিলে আমার ত নিস্কৃতি নাই । এই অপরিণত অবস্থায় ঐ গল্পটাকে কোন কাগজে দিতে আমার একেবারে ইচ্ছা নয়। গ্রন্থ আকারে সম্পূর্ণভাবে বাহির হইলেই আমার মনঃপূত হয়। কিন্তু একদিকে শৈলেশের তাড়না অপর দিকে অর্থাভাবেরও তাড়া আছে— তাই অপেক্ষা করা কঠিন হইয়াছে। গোড়া হইতে আরম্ভ করিয়া গোটা সাতেক পরিচ্ছেদ শেষ করিয়াছি— বিনোদিনী সবে রঙ্গভূমিতে পদার্পণ করিতেছে মাত্র । এটা যদি শৈলেশকে দিতে হয় তবে সেই সঙ্গে আরেকটা গল্প ভারতীকে দিতেই হইবে— সে আমার একটা উদ্বেগের কারণ রহিয়াছে। গল্পের প্লট অনেকগুলাই মাথায় অাছে। তাহার মধ্যে দুই একটা ফুটিয়া বাহির হইয়া আসিবার জন্য ক্ষণে ক্ষণে মাথার খুলির মধ্যে ঠোকর মারিতেছে— কিন্তু সময় নাই— মনের শাস্তি নাই। লোকেনের চিঠি পাই নাই— সে যে কলিকাতার মায়া কাটাইয়া এখানে আসিবে এমন আশা হয় না— তবে যদি ফু দিনের মত উকি দিয়া যাইতে পারে। তোমার গুড় সংগ্ৰহ হইয়াছে। এখানকার নায়েব বোধহয় কাল কলিকাতায় যাইবে— তাহার হাত দিয়াই পাঠাইয়া দিব । ১৮২