পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঁচিয়ে চলতে হয় এবং খয়রাতের কথা উঠলেই রখীর উপর বরাৎ দিই— এক এক সময় ভয় হয় তার রথ বুঝি অসম্ভব রকমে ভারি হয়ে উঠেছে। কারণ তার হিসাব আমি দেখিনে, সুতরাং তার তহবিলের অবস্থা সম্বন্ধে আমি কিছুই জানি নে । তবু তার কাছে দশটা টাকা চাইলে যে পাওয়া যাবে না তা নয় এবং বোঝার উপর শাকের অঁাটিও সইবে । কিন্তু নিতান্তই গোলেমালে ভুলে বসেছিলুম। এবার কলকাতায় গেলে স্মরণ করিয়ে দিয়ো বোধ হয় এবারে তোমাকে বিড়ম্বিত হতে হবে नl । গানের কবিত্ব সম্বন্ধে যা লিখেছ সবই মানি । কেবল একটা কথা ঠিক নয়। মাথায় কবিতা সম্বন্ধে কোনো থিওয়িই নেই। গান লিখি, তাতে সুর বসিয়ে গান গাই— ঐটুকুই আমার আশু দরকার— আমার আর কবিত্বের দিন নেই। পূর্বেই বলেছি ফুল চিরদিন ফোটে না— যদি ফুটত ত ফুটুতই, তাগিদের কোনো দরকার হত না। এখন যা গান লিখি তা ভাল কি মন্দ সে কথা ভাববার সময়ই নেই। যদি বল তবে ছাপাই কেন, তার কারণ হচ্চে ওগুলি আমার একান্তই অস্তরের কথা— অতএব কারো না কারো অস্তরের কোনো প্রয়োজন ওতে মিটুতে পারে— ও গান যার গাবা]র দরকার সে একদিন গেয়ে ফেলে দি[েল]ও ক্ষতি নেই কেননা আমার যা দরকার ত৷ হয়েছে। যিনি গোপনে অপূর্ণ প্রয়াসের পূর্ণত সাধন করে দেন র্তারই পাদপীঠের তলায় এগুলি যদি বিছিয়ে দিতে পারি এ ૨ છે 8