পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাই– ইচ্ছায়— আনন্দে সমালোচনা করিতে হইবে— এবং বহুজনের উপরোধেও করিতে হইবে । কিন্তু আমি সত্য বলিতেছি — এবার কেমন একটু ভয় হইতেছে— আমি কি তোমার বর্তমান পূর্ণ পরিণত প্রতিভার উপযুক্ত পূজা করিতে পারিব ? কত সৌন্দর্য্যই যে আমার দ্বারা উপেক্ষিত হইবে তাহ কে বলিতে পারে। যা হোক তাড়াতাড়ি কিছু করিতেছি না । গ্রন্থচতুষ্টয় বার বার পড়িয়াও এখন তৃপ্ত হই নাই -- সে কারণে ত পড়িবই — এবং সমালোচনার জন্য আরও পড়িব । তোমার পত্রের সঙ্গেই একই ডাকযোগে প্রমথবাবুর একখানি পত্র পাইলাম— তিনিও চান যে আমি তোমার কাব্য চারখানির সমালোচনা লিখি– তারও রাস্কিন-প্রবন্ধ বড় ভাল লাগিয়াছে। শ্ৰীশবাবুকে ‘কল্পনা’ উৎসর্গ করিয়াছ দেখিয় বড়ই আনন্দিত হইলাম— আর কাহাকেও উৎসর্গ করিলে এমন আহলাদ হইত না— বেচারীর অতিমিষ্ট প্রাণ— কৰ্ম্মযোগে সুদূর প্রবাসে পড়িয়া আছে– কতদিন দেখাসাক্ষাৎ হয় নাই। তুমি তাকে বল যে এই উৎসর্গে তারই মতন আমি আনন্দ পাইয়াছি। সমাজপতির সঙ্গে সেদিন “চিরকৌমার সভা” সম্বন্ধে কথা হইয়াছিল— তার কতকগুলি ‘কিন্তু ছিল— কিন্তু জেরায় দাড়াল এই যে, তোমার শৈলবালাকে নিয়ে তুমি বিভ্রাটে পড়িবে— র্তার মতে হয় তাকে সভায় লইয়া যাইও না— নয় তাকে সরাইয়া দাও— এমন কি জীবন হইতে— কিন্তু এ দুটির একটিও কৰ্ত্তে পারবে না। সহজ-সাধ্য দ্বিতীয় উপায়টি অবলম্বন কল্পে আমি ૨ (t ઉઃ