পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্বালা, তীব্র নেশার দাহিকা আছে কিন্তু কুমার-সভার সকলই অমৃতময় এবং পাঠকালে হৃদয়কে— অস্ততঃ আমার হৃদয়কে অমৃতায়মান করিয়া তোলে। মামা আর ভাগিনীকে কোথা হতে সংগ্রহ কল্পে। মামা তোমরা কেউ— বোধ হয় তোমার মেজদাদা। আর সরলতার কথা যতটা তোমার ঠেন শুনেছি তা থেকে অনুমান করি— সরলাই ভাগিনী ! আমার সমস্যা পাঠ ঠিক হল কিনা বোলো। তোমার কবিতাটিও বেশ লাগল— তোমার কবিতা বেশ না লাগাই আশ্চৰ্য্য ! আজ কয়দিন দিন রাত অবিশ্রান্ত বর্ষণ হচ্ছে— মহাপুরুষদের নিকট হাস্যজনক হইলেও তোমাতে তামাতে বলব, “হৃদয় আমার ময়ূরের মত নাচে রে ।” কিন্তু গত-প্রায় বর্ষার বিদায়সম্ভাষণ শুনিবার অবসর কই– আসন্নপ্রায় পূজার ব্যয়সঙ্কটে হৃদয় চিন্তাকুল— তাই এমন বর্ষায়ও আফিস অভিমুখে যাত্রা করিতেছি । টাকা আদায় করার চেয়ে আর শক্ত কাজ আমি ত দেখি না । কিছু সংস্থান কত্তে পাল্লেই তোমার কাছে ছুটিতেছি । এবারকার প্রদীপে রাস্কিন প্রবন্ধ কি দেখেছ ? ক্ষণিকার সমালোচনা অৰ্দ্ধেক লিখিত হইয়া স্থগিত আছে— কাল থেকে আবার হাত দেবার অবসর করে নিতে হবে । তোমাদের সকলের সংবাদ লিখিও । দুপুর বাজিয়া গিয়াছে। বৃষ্টিপাতও একটু কম হইয়া আসিয়াছে। আমিও আফিস চলি। শ্ৰীপ্রিয়নাথ সেন ২৩৬