পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ত লোকের মধ্যে উপলব্ধি করবার একটা ক্ষুধা চিরদিন থেকে যায়।’ বৎসরাধিক পূর্বে ইন্দিরা দেবীকে লিখিত আর-একথানি চিঠিতেও অমুকুল সঙ্গের জন্য আক্ষেপ ও প্রিয়নাথ সেনের প্রসঙ্গ আছে— ৬ এপ্রিল ১৮৯৩ ৷ . এই হতভাগা জনশূন্ত দেশে মনটা যেন নিশিদিন উপবাসী হয়ে আছে— কেবল ভিতর থেকে আপনাকে আপনি আহার করছে। কে বা জীবন ধারণ করে, কে বা ভাবে, কে বা কথা কয়— কেই বা প্রতিবাদ করে, কেই বা উৎসাহ দেয়, কেই বা তোমার কথা শোনে, কেই বা তোমার ভাব বোঝে— কেই বা অস্তরের মধ্যে তলিয়ে দেখতে চেষ্টা করে। কেউ বা আমোদ করছে, কেউ বা আলস্য করছে, কেউ বা আপিসে যাচ্ছে— মানুষের মন বলে যে একটি প্রাণী আছে, সেটা যে শুকিয়ে শুকিয়ে আধমরা হয়ে যাচ্ছে, তার জন্তে কারও কানাকডির মাথাব্যথা নেই। আমি আজ সকালে প্রিায়] বাবুর ওখানে গিয়েছিলুম, অনেকটা যেন আহার পান করে আসা গেল।’৩ রবীন্দ্রনাথের প্রথম যৌবনের সাহিত্যসঙ্গীদের মধ্যে আত্মীয়গোষ্ঠীর বাহিরে সর্বাপেক্ষা স্মরণীয় নাম প্রিয়নাথ সেনের। রবীন্দ্রনাথের সহিত কখন তাহার পরিচয় হইয়াছিল তাহা নিশ্চিত করিয়া জানা যায় না ; সম্ভবতঃ ১৮৮০ সালে প্রথমবার বিলাতবাস হইতে প্রত্যাবর্তনের পর উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠত হয় । প্রিয়নাথ সেনের প্রতিবেশী বিহারীলাল চক্রবর্তী, বিহারীলাল ঠাকুরবাড়িতেও বিশেষ পরিচিত ও সমাদৃত ছিলেন, পরিচয়ের স্বত্র সম্ভবতঃ তিনিই। এই গ্রন্থে যে পত্রগুচ্ছ প্রকাশিত হইল তাহাতে রক্ষিত রবীন্দ্রনাথের প্রথম চিঠি ১৮৮২ সালের, প্রিয়নাথ সেনের প্রথম চিঠি যাহা পাওয়া গিয়াছে তাহার তারিখ ১৮৮৪ । সাহিত্যসাধনার এই প্রারম্ভযুগের কথা স্মরণ করিয়া রবীন্দ্রনাথ জীবনস্মৃতিতে ( গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৯১২ ) ‘প্রিয়বাবু অধ্যায়ে লিথিয়াছেন— S ゲー\○