পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"এই সন্ধ্যাসংগীত রচনার দ্বারাই আমি এমন একজন বন্ধু পাইয়াছিলাম যাহার উৎসাহ অমুকুল আলোকের মতো আমাকে কাব্যরচনার বিকাশচেষ্টায় প্রাণসঞ্চার করিয়া দিয়াছিল । তিনি শ্ৰীযুক্ত প্রিয়নাথ সেন। তৎপূর্বে ভগ্নহৃদয় [ গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৮৮১ ] পড়িয়া তিনি আমার আশা ত্যাগ করিয়াছিলেন, সন্ধ্যাসংগীতে [ গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৮৮২ ] তাহার মন জিতিয়া লইলাম । তাহার সঙ্গে যাহাদের পরিচয় আছে তাহারা জানেন, সাহিত্যের সাত সমুদ্রের নাবিক তিনি। দেশী ও বিদেশী প্রায় সকল ভাষার সকল সাহিত্যের বডে রাস্তায় ও গলিতে র্তাহার সদাসর্বদা আনাগোনা । তাহার কাছে বসিলে ভাবরাজ্যের অনেক দূর দিগন্তের দৃশ্ব একেবারে দেখিতে পাওয়া যায়। সেটা আমার পক্ষে ভারী কাজে লাগিয়াছিল । সাহিত্য সম্বন্ধে পূরা সাহসের সঙ্গে তিনি আলোচনা করিতে পারিতেন ; তাহার ভালোলাগা মন্দলাগ৷ কেবলমাত্র ব্যক্তিগত রুচির কথা নহে। এক দিকে বিশ্বসাহিত্যের রসভাণ্ডারে প্রবেশ ও অন্য দিকে নিজের শক্তির প্রতি নির্ভর ও বিশ্বাস— এই দুই বিষয়েই র্তাহার বন্ধুত্ব আমার যৌবনের আরম্ভকালেই যে কত উপকার করিয়াছে তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না। তখনকার দিনে যত কবিতাই লিখিয়াছি সমস্তই তাহাকে শুনাইয়াছি এবং তাহার আনন্দের দ্বারাই আমার কবিতাগুলির অভিষেক হইয়াছে । এই সুযোগটি যদি না পাইতাম তবে সেই প্রথম বয়সের চাষ-আবাদে বর্ষ। নামিত না এবং তাহার পরে কাব্যের ফসলে ফলন কতটা হইত তাহ বলা শক্ত ’৭ সাহিত্যের আকর্ষণে এই-যে সৌহার্দ্যের সূচনা, ক্রমশ তাহা জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রসারিত হইয়া রবীন্দ্রনাথকে কেবল ষে তাহার প্রতিভার পূর্ণসম্ভাবনার পথে যাত্রার প্রেরণা দিয়াছে তাহা নয়, সাংসারিক বহু তাপ ૨ઝ 8